পর্যটনকেন্দ্র হোটেল কর্মী থেকে পর্যটন এলাকায় গাড়ির ড্রাইভার, চা দোকানদার, খাবার দোকানদার মিলিয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষের কর্মসংস্থাফলে যোগান দেয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা থেকে মন্দারমণি সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্র জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ শীতকালীন পর্যটন মরশুম শুরুর আগেই চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে পড়ার ভয় তৈরি হয়েছিল হোটেলকর্মীদের রুটি রোজগার নিয়ে। প্রশাসনের এক নির্দেশিকায় উড়ে গিয়েছিল মুখের হাসি। পর্যটনকেন্দ্র কিন্তু বিকল্প কর্মসংস্থানের যোগান দেয়।
advertisement
যার ফলে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে নানান পেশার মানুষের মুখের ভাত জুগিয়ে চলছে। মন্দারমণির দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করায় বেড়েছে হোটেল ও রিসোর্ট। বেড়েছে বিভিন্ন দোকানপাট। বহু মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে মন্দারমণিতে। কিন্তু এবার মন্দারমণিতে বেআইনি হোটেল রিসোর্ট ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ ছিল প্রশাসনের। কোস্টাল রেগুলেশন অ্যাক্ট মানা হয়নি এ ধরনের হোটেল রিসোর্ট চিহ্নিত করে ২০ নভেম্বরের মধ্যে হোটেল কর্তৃপক্ষদের ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন যে, মন্দারমণিতে কোনও বুলডোজার চলবে না৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নবান্নকে না জানিয়ে কোনও হোটেল এবং রিসর্ট ভাঙতে পারবে না জেলা প্রশাসন৷ এ দিন নবান্নের পক্ষ থেকে এমনই জানানো হয়েছে৷
নবান্ন সূত্রে খবর, মন্দারমণির প্রায় দেড়শোরও বেশি হোটেল এবং রিসর্ট ভাঙার যে নির্দেশ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন দিয়েছিল, সে বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কিছু জানানোই হয়নি৷ জেলা প্রশাসনের এই ধরনের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী স্তম্ভিত বলেও নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷ ফলে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর স্বস্তিতে এই পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার কর্মীরা৷
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটন মানেই সমুদ্র কেন্দ্রিক। জনপ্রিয় দিঘা তো আছেই। দিঘা বাদে অফবিট সমুদ্র সৈকত মানেই ছিল মন্দারমণি। মন্দারমনিতে গড়ে উঠেছে একাধিক হোটেল সমুদ্র সৈকতের গা ঘেঁষে। আর তাতেই উঠেছিল বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। মানা হয়নি কোস্টাল রেগুলেশন অ্যাক্ট, এমন অভিযোগও ওঠে। তবে আপাতত সেই চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলার এই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র৷
সৈকত শী