সফলভাবে চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা দেশ। চাঁদের মাটিতে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে এর আগে তিনটি দেশ- আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন আর তার সঙ্গে এবার চতুর্থ দেশ হিসেবে জায়গা করে নিল ভারত। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান -২ পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিরলস পরিশ্রমের পরে চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করে। শুনলে হয়তো আপনিও অবাক হতে পারেন চন্দ্রযান ৩ – সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার পেছনে এক বড় অবদান রয়েছে ছোট থেকে অশোকনগরের মাটিতে বড় হয়ে ওয়া অশোকনগরের স্কুলে পড়াশোনা করা ছেলে বর্তমানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর গবেষক বিমল ভট্টাচার্যের।হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনছেন ইসরোর বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড প্ল্যানেটরি সায়েন্সেস – এর গ্রুপের ডিরেক্টর গবেষক বিমল ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫৯/১ ঠিকানার বাসিন্দা।
advertisement
আরও পড়ুন-হাওয়ায় উড়ে গেল মিনি ড্রেস! ফের ট্রোলড শ্রাবন্তী, শেষমেশ যা করলেন, ভিডিও ভাইরাল
আরও পড়ুন-শাহরুখের ‘মন্নত’ ঘিরে ফেলেছে পুলিশ, গেটের সামনে বিক্ষোভ অশান্তি, কোন বিপাকে কিং খান?
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানের ইসরোর বিজ্ঞানী বিমল বাবু ছোটবেলায় অশোকনগরের মাটিতেই বড় হয়েছেন ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা খুব ভাল ছিল। অশোকনগর বয়েজ সেকেন্ডারি স্কুল থেকে তিনি ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক পাস করেন এবং ১৯৮৪ সালে তিনি সাইন্স নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপরে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে নিউ দিল্লি এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট থেকে এমএসসি এবং পি এইচ ডি করেন। বিমল বাবুর দাদা শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য আমাদের ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন, ‘একটা ভীষণ গর্বের খবর ভাই তো আমার এখন শুধু অশোকনগরের গর্ব নয় সে এখন দেশের এবং দেশের বাইরের মানুষের কাছেও গর্বের।’ পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, ‘আজও ভাই ফোন করেছিল কথা হয়েছে প্রতিবছর একবার করে অশোকনগরের এই বাড়িতে ভাই বেড়াতে আসেন সামনের বছরও আসবেন’ এমনটাও দাদা আমাদের জানালেন।
জিয়াউল আলম
