উল্লেখ্য, পূর্ব রেলের হাওড়া ব্যান্ডেল শাখায় চন্দননগর স্টেশন। অমৃত ভারত প্রকল্পে স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। স্টেশনের পূর্ব দিকে যেসব দোকান ছিল, তা উচ্ছেদ করে সেখানে সীমানা পাঁচিল দেওয়া হয়েছে। সেই দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা ধরনের ছবি। বিভিন্ন জায়গায় লেখা হয়েছে পরিবেশ রক্ষার বার্তা। যেখানে দেখা যাচ্ছে গাছ কাটার জন্য পিছনে করাত নিয়ে গাছের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ছবিতে লেখা স্যাড রিয়েলিটি।
advertisement
আরও পড়ুন : কেন শীতকালে বারবার গ্রামে ঢুকে পড়ে বাঘ? এই চারটি বড় ‘কারণে’ লুকিয়ে আছে উত্তর
প্লাস্টিক নিয়ে জল অপচয় নিয়েও দেওয়াল লিখন রয়েছে। পরিবেশ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী হয়েছে রেল দফতর। তবে চন্দননগর স্টেশনে ঢোকার মুখে যে গাছগুলি ছিল, সেই গাছ ছেঁটে দেওয়া হয়েছে নির্বিচারে। স্টেশন আধুনিক করার জন্য যে ভাবে গাছ কাটা হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চন্দননগরের নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে স্টেশন মাস্টারকে এ বিষয়ে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : সিউড়িতে বাঙালিয়ানার মহোৎসব! দুর্গাপুজোয় ফিরে আসছে বাঙালি গৌরবের দিনগুলি
স্থানীয়দের দাবি, সকাল সন্ধ্যে চন্দননগর স্টেশন চত্বর পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠত। স্টেশন আধুনিকীকরণ করার জন্য গাছের ডাল ছাঁটা হয়েছে। ফলে সেই পাখির আওয়াজ আর শোনা যায় না। এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকার মানুষের। সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছিল গাছ কাটা সম্পর্কিত লেখা। যা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছিল। তারপরেই ওই লেখা মুছে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্রাফিক্সের সঙ্গে মিল না থাকায় মোছা হচ্ছে। চন্দননগরের ঐতিহ্য যা কিছু, সবই ফুটিয়ে তোলা হবে স্টেশনের দেওয়ালে।