কেন শীতকালে বারবার গ্রামে ঢুকে পড়ে বাঘ? এই চারটি বড় 'কারণে' লুকিয়ে আছে উত্তর

Last Updated:
Royal Bengal Tiger : রয়েল বেঙ্গল টাইগার সাধারণত মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। তবে শীতকালে প্রায়ই দেখা যায় তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। কী কী কারণ রয়েছে জানেন?
1/7
বাংলার গর্ব রয়েল বেঙ্গল টাইগার সাধারণত মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। তবে শীতকালে প্রায়ই দেখা যায় তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। কুলতলির গৌড়ের চক কিংবা মোহনপুরের গঙ্গার ঘাটে এ ধরনের ঘটনা মানুষকে যেমন কৌতূহলী করে তোলে, তেমনি গ্রামাঞ্চলে ভয়ের সঞ্চার করে। মূলত খাদ্যাভাব, আশ্রয়ের অভাব এবং মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপই শীতে বাঘকে লোকালয়ের দিকে ঠেলে দেয়।
বাংলার গর্ব রয়েল বেঙ্গল টাইগার সাধারণত মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। তবে শীতকালে প্রায়ই দেখা যায় তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। কুলতলির গৌড়ের চক কিংবা মোহনপুরের গঙ্গার ঘাটে এ ধরনের ঘটনা মানুষকে যেমন কৌতূহলী করে তোলে, তেমনি গ্রামাঞ্চলে ভয়ের সঞ্চার করে। মূলত খাদ্যাভাব, আশ্রয়ের অভাব এবং মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপই শীতে বাঘকে লোকালয়ের দিকে ঠেলে দেয়। <strong>(ছবি ও তথ্য - সুমন সাহা)</strong>
advertisement
2/7
প্রথমত, শীতকালে বাঘের প্রধান শিকার যেমন হরিণ, বুনো শুয়োর কিংবা অন্যান্য বন্যপ্রাণী খাবারের সন্ধানে বনের গভীরে চলে যায়। এতে বাঘের খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ক্ষুধার্ত বাঘ তখন সহজলভ্য খাবারের খোঁজে গ্রামাঞ্চলের দিকে আসে, যেখানে গৃহপালিত গরু, ছাগল বা কুকুর সহজেই শিকার হতে পারে। এভাবেই খাদ্যের টানে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করে।
প্রথমত, শীতকালে বাঘের প্রধান শিকার যেমন হরিণ, বুনো শুয়োর কিংবা অন্যান্য বন্যপ্রাণী খাবারের সন্ধানে বনের গভীরে চলে যায়। এতে বাঘের খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ক্ষুধার্ত বাঘ তখন সহজলভ্য খাবারের খোঁজে গ্রামাঞ্চলের দিকে আসে। যেখানে গৃহপালিত গরু, ছাগল বা কুকুর সহজেই শিকার হতে পারে। এভাবেই খাদ্যের টানে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করে।
advertisement
3/7
দ্বিতীয়ত, শীতের সময় আশ্রয়ের খোঁজে বাঘ প্রায়শই লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ঘন ঝোপঝাড় বা কোনো পরিত্যক্ত বাড়িঘর তাদের কাছে নিরাপদ আশ্রয় মনে হয়। পাশাপাশি বাঘের প্রজননের সময়ও তারা নিরিবিলি স্থান খুঁজে বেড়ায়, যা অনেক সময় লোকালয়ের কাছেই মিলে যায়।
দ্বিতীয়ত, শীতের সময় আশ্রয়ের খোঁজে বাঘ প্রায়শই লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ঘন ঝোপঝাড় বা কোনও পরিত্যক্ত বাড়িঘর তাদের কাছে নিরাপদ আশ্রয় মনে হয়। পাশাপাশি বাঘের প্রজননের সময়ও তারা নিরিবিলি স্থান খুঁজে বেড়ায়, যা অনেক সময় লোকালয়ের কাছেই মিলে যায়।
advertisement
4/7
তৃতীয়ত, বনভূমি ধ্বংস ও মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপ বাঘের স্বাভাবিক বাসস্থান সংকুচিত করছে। মাছের ভেড়ি বসানো, গাছ কাটা কিংবা পর্যটকদের শব্দ বাঘকে বিরক্ত করে। ফলে তারা তাদের পুরোনো এলাকা ছেড়ে নতুন আশ্রয়ের খোঁজে মানুষের কাছাকাছি চলে আসে। এক পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৮ বারেরও বেশি বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।
তৃতীয়ত, বনভূমি ধ্বংস ও মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপ বাঘের স্বাভাবিক বাসস্থান সংকুচিত করছে। মাছের ভেড়ি বসানো, গাছ কাটা কিংবা পর্যটকদের শব্দ বাঘকে বিরক্ত করে। ফলে তারা তাদের পুরনো এলাকা ছেড়ে নতুন আশ্রয়ের খোঁজে মানুষের কাছাকাছি চলে আসে। এক পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৮ বারেরও বেশি বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।
advertisement
5/7
চতুর্থত, অসুস্থ বা বয়স্ক বাঘ প্রায়শই শিকার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। তখন তারা সহজ টার্গেট হিসেবে লোকালয়ের গবাদিপশুর দিকে ঝুঁকে পড়ে। এতে মানুষ ও বাঘ উভয়ের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে। অনেক সময় আতঙ্কে গ্রামবাসীরা বাঘটিকে মেরে ফেলে, যা বাঘের সংখ্যা হ্রাস করে।
চতুর্থত, অসুস্থ বা বয়স্ক বাঘ প্রায়শই শিকার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। তখন তারা সহজ টার্গেট হিসেবে লোকালয়ের গবাদিপশুর দিকে ঝুঁকে পড়ে। এতে মানুষ ও বাঘ উভয়ের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে। অনেক সময় আতঙ্কে গ্রামবাসীরা বাঘটিকে মেরে ফেলে, যা বাঘের সংখ্যা হ্রাস করে।
advertisement
6/7
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মানুষ ও বাঘের সংঘাত। খাবারের অভাব, বন ধ্বংস ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সংঘাত বাড়ছে। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, গবাদি পশু মারা যাচ্ছে, আবার বাঘকেও বন্দী বা হত্যা করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই বনভূমি রক্ষা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং স্থানীয় মানুষকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মানুষ ও বাঘের সংঘাত। খাবারের অভাব, বন ধ্বংস ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সংঘাত বাড়ছে। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, গবাদি পশু মারা যাচ্ছে, আবার বাঘকেও বন্দী বা হত্যা করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই বনভূমি রক্ষা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং স্থানীয় মানুষকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
7/7
সমাধানের পথ হলো বাঘের স্বাভাবিক বাসস্থান রক্ষা করা, বন ধ্বংস বন্ধ করা এবং শিকার প্রাণীর সংখ্যা বাড়ানো। লোকালয় ও বনভূমির মাঝে বাফার জোন তৈরি, আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া দল গঠনও জরুরি। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করলেই এই সংঘাত অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
সমাধানের পথ হল বাঘের স্বাভাবিক বাসস্থান রক্ষা করা, বন ধ্বংস বন্ধ করা এবং শিকার প্রাণীর সংখ্যা বাড়ানো। লোকালয় ও বনভূমির মাঝে বাফার জোন তৈরি, আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া দল গঠনও জরুরি। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করলেই এই সংঘাত অনেকাংশে কমানো সম্ভব। <strong>(ছবি ও তথ্য - সুমন সাহা)</strong>
advertisement
advertisement
advertisement