আরও পড়ুন: ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান, খুশির হাওয়া কৃষকদের মধ্যে
১৯৩৮ এর ১১ এপ্রিল কলকাতা থেকে ট্রেনে পাঁশকুড়ায় এসে নামেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেখান থেকে তিনি গাড়িতে করে তমলুক শহরে পৌঁছন। তমলুকে তিনি রাজবাড়ির ভেতর খোসরঙের মাঠে স্বদেশী কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সমর্থনে সভা করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তমলুকের রাখাল গ্রাউন্ডে সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশ তমলুকে নেতাজির সভা বানচাল করার জন্য মাঠের মালিককে ভয় দেখায়।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ব্রিটিশ পুলিশের অত্যাচারের ভয়ে নেতাজির সভা করার জন্য মাঠের অনুমতি দেওয়ার পরও পিছু হটেন মাঠের মালিক। তখন তমলুকের কংগ্রেস নেতারা শরণাপন্ন হয় রাজা সুরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের। তিনি রাজবাড়ির অন্দরে আম গাছের বাগান কেটে সভাস্থল তৈরির নির্দেশ দেন। নেতাজি সভা করার পর তমলুকের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। পুরসভা, বর্গভীমা মন্দির, তমলুকের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম মিশন। তাম্রলিপ্ত পুরসভায় এসে নেতাজি প্রশাসকের চেয়ারে বসেন। সেই চেয়ারটি আজও সযত্নে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বর্তমানে সারা বছর একটি কাঁচের শো-কেসের ভেতরে চেয়ারটি রাখা থাকে।
সৈকত শী