অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের অভিযোগ, ডিউটি রস্টারে রদবদল হলেও চুপ করে থাকা, কাউকে না জানিয়ে একজনের ডিউটি অপরজন করা, কাজে না এলেও বেতনের বিলে সই করা, ওয়ার্ডে আয়াকে ঢুকতে দেওয়ার মতো. একাধিক ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করা হয় তাঁর ওপরে। কিন্তু মাথা নত না করায় এদিনের হুমকি।
আরও পড়ুন: আপনার বাইকের মাইলেজ কি কমে গিয়েছে? এই একটি জিনিস বদলে ফেলুন…খরচ মাত্র ১০০ টাকা!
advertisement
অ্যাসিস্ট্যান্ট সৌরভ দাস জানিয়েছেন, ‘‘৭-৮ মাস ধরে সিকিউরিটি স্টাফের রস্টারটা আমি চাইছিলাম। পারছিলাম না। কারণ সেটা দেখে বিল সই করতে হয়। ওদের দাবি ওরা ডিউটি না করলেও বকেয়া স্লিপে আমাকে সই করে দিতে হবে। একজনের ডিউটি আরেকজন করবে, সেসব মেনে নিতে হবে। আমাকে বলেছে, আপনার অত রোস্টার দেখার দরকার নেই।’’
হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের আরও অভিযোগ, ’’আয়াদের হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে দিতে হবে বলেও দাবি করতে থাকেন তাঁরা। বেশি নিয়ম দেখালে কী করে ক্যানিং থেকে বেরোন দেখে নেব। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমাকে হুমকির মুখে পড়তে হল।’’
অভিযুক্ত স্থানীয় নেতা দিঘিরপারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিধায়কের ঘনিষ্ঠ। গোটা ঘটনার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন CMOH।
যদিও এই বিষয় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ও তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূল এমন হুমকি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। দুর্নীতিকে কোনওদিন আপস করেনি তৃণমূল। যদি এমন হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। চিকিৎসক মানে ভগবানের সমতুল্য ,তৃণমূল এইরকম হুমকির রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। প্রশাসন সঠিক তদন্ত করুক এবং এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে দল মত নির্বিশেষে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।’’
সুমন সাহা