দক্ষিণ ২৪ পরগনার সেতুটি সেচ দফতরের অধীন হলেও তারা এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ। আর সেতু সারানো না হলে নেতাদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এরপরেই আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। বছর ১৫ আগে এখানে থাকা কংক্রিটের সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর পাশে একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয় সেচ দফতরের তরফ থেকে। কিন্তু এই কাঠের সেতুটিও বছর চারেক আগে ভেঙে যায়। তারপর থেকেই এলাকার সাধারণ মানুষ এই সেতুটি মেরামতি কিম্বা বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের সেতু তৈরির আবেদন জানিয়ে এলেও কোন লাভ হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলায় চলল বুলডোজার! ১৭ কিমি এলাকা জুড়ে অবৈধ নির্মাণ ভাঙবে প্রশাসন, এতবড় পদক্ষেপ কোথায় নিল জানেন!
প্রতিদিন স্থানীয় বঙ্কিম সর্দার কলেজ, সরকারি আইটিআই কলেজ, অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র সহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যেমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙাচোরা সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে, তেমনই এলাকার সাধারণ মানুষ সহ আশপাশের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। সেতু থেকে পড়ে গিয়ে হাত পা ভাঙছে। রোগী নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই কাঠের সেতুর উপর দিয়ে ক্যানিং ১ ব্লকের দাঁড়িয়া, হাটপুকুরিয়া, নিকারীঘাটা, গোপালপুর ও দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকার স্কুল, কলেজ, থানা, রেল স্টেশন, হাসপাতাল এবং বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দফতরে যেতে হলে অন্যতম ভরসা এই কাঠের সেতু। নড়বড়ে ভাঙাচোরা এই কাঠের সেতুর উপর দিয়েই চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। নতুবা কয়েক কিলোমিটার ঘুরে দৈনন্দিন কাজকর্ম মেটাতে হয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে শুরু করে জন প্রতিনিধিদের কাছে বারে বারে দরবার করেছেন এলাকার মানুষ কিন্তু সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক।
সুমন সাহা