পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ক্যানিং থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন নিজেদের বাড়ির পেয়ারা গাছ থেকে পেয়ারা পাড়তে উঠেছিল রবিউল। পাশেই আবাস যোজনার ঘর অর্ধনির্মিত অবস্থায় ছিল। সেই ঘরের দেওয়াল আচমকাই ভেঙে পড়ে রবিউলের ওপর।
advertisement
আরও পড়ুন : দুর্গা পুজোর আগে চরম ধাক্কা! অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বর্ধমানের ঐতিহাসিক মন্দির
তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে, মন্দিরবাজার এলাকায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলা সহ তার দুই নাবালিকা মেয়ের। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও একই মর্মান্তিক ঘটনা। এ বিষয়ে মৃত কিশোরের আত্মীয় নুরুল লস্কর জানান, বিকেলে রবিউল পেয়ারা বাগানে পেয়ারা পাড়তে গিয়েছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেই সময় অসাবধানতাবশত রবিউল একটি ইটের দেওয়ালে হাত দেয় এবং মুহুর্তের মধ্যে সেই ইটের দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে রবিউলের গায়ে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ইটের দেওয়াল সরিয়ে রবিউলকে চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে।