স্বাভাবিকভাবে ঘরবন্দি অবস্থায় কার্যত মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন দুই ভাই। চার বছর ছোট্ট দোকান সামলানোর পরেও তাদের পুঁজি বলতে নিতান্তই। তবে করোনাই বদলে দিল অভাবের সেই ছবিটা। সামান্য ভাড়া ঘর থেকে আজ প্রতি মাসে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার টার্নওভার দুই ভাইয়ের। এভাবে ঘুরে দাঁড়ানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। কীভাবে এমন হল? জানলে অবাক হবেন।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এক নম্বর ব্লকের করাকাই গ্রামের বাসিন্দা দুই ভাই, বিশ্বজিৎ পাত্র ও মানস পাত্র। করোনার সময় ঘরবন্দি অবস্থায় থাকার পর নিজেদের পুরোনো জ্ঞান এবং সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের বদলানোর চেষ্টা করেন। সামান্য ভাড়ায় চলা জেরক্সের দোকান থেকে আজ কয়েক লক্ষ টাকা রোজগার দুই ভাইয়ের। করোনার সময় যখন সবার রোজগার বন্ধ, তখন এই দুই ভাই শুরু করলেন নিজস্ব ব্যবসা। তৈরি করলেন স্টুডিও লাইন ইন্ডিয়া নামে একটি কোম্পানি।
তবে কী করতেন তারা? কীভাবে ভাড়ায় চলা দোকান থেকে আজ লাখপতি?
আরও পড়ুনঃ ঘাটালে ফের বন্যা, মাঝে মাস খানেকের ব্যবধান! পুজোর আগে সাড়ে সর্বনাশ
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফি ছিল তাদের পেশা। তবে এই ফটো তোলার পর তা এডিটিংয়ের জন্য বিভিন্ন রাজ্যে এডিটরদের কাছে পাঠাতে হতো তাদের। করোনার সময় যখন সবই বন্ধ, তখন নিজেদের উদ্যোগে এবং নিজেদের প্রচেষ্টায় তৈরি করলেন বিশেষ এডিটিং সফটওয়্যার। ২০২১ থেকে শুরু হয় তাদের এই ব্যবসা। একাধিক ফটো, অ্যালবাম এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বানিয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এমনকি দেশের বাইরে বিদেশে রফতানি করছে এই সফটওয়্যারগুলো। শুধু তাই নয় দুই ভাই মিলে কাস্টমাইজ করছেন পার্সোনাল কম্পিউটার। যার থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূলত নিজের জেদ, কিছু করার ভাবনা এবং মানসিক অবসাদকে সরিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়েই তাদের পথচলা এবং বর্তমানে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও বেশ নাম করেছে তাদের তৈরি এই সফটওয়্যার কোম্পানি। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থেকেও বিশ্বজিৎ এবং মানসের দেশ ও বিদেশের খ্যাতি অবাক করেছে সকলকে। তাদের এই চিন্তা ভাবনা এবং উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।