পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অন্যান্য বছরের মত এ বছরেও প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ ভক্তবৃন্দের মধ্যে বিতরণ করা হবে মায়ের পোলাও ভোগ। এছাড়াও পূজা মণ্ডপ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার উপস্থিত দর্শনার্থীরা মহাপ্রসাদ বা ভোগ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুনFire Momo: আগুনে জ্বলছে মোমো! মোমোর বাজারে নতুন, খেতেও অন্যরকম তিব্বতী খাবার!
advertisement
মায়ের মহা প্রসাদ পোলাও প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় মসলা ইতিমধ্যেই তৈরি করার কাজে হাত লাগিয়েছেন প্রায় ৫০০ জন মানুষ। পুজার দিন ৫০ কুইন্টাল চাল ১৩ কুইন্টাল ঘি ছাড়াও প্রায় ২ কুইন্টাল দারচিনি, এলাচ, কাজু, কিসমিস ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মসলাজাত দ্রব্য দিয়ে তৈরি করা হয় মায়ের পোলাও মহাপ্রসাদ। ভোগের পর যা বিতরণ করা হয় লক্ষ লক্ষ উপস্থিত বক্তব্য বৃন্দদের মধ্যে। প্রাচীন রীতি মেনে মায়ের মূর্তি তৈরি করার পাল মশাই থেকে শুরু করে পুজোর আয়োজনের কাজ প্রত্যেকেই বংশপরম্পরায় এখানে করে থাকেন বলে জানান পূজা উদ্যোক্তারা।
পাশাপাশি প্রতিবছর বুড়িমার প্রতিমা দর্শন ছাড়াও মায়ের কাছে অঞ্জলি দিতে প্রায় আট থেকে দশ লক্ষ উৎসাহী ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে চাষাপাড়া বারোয়ারির পুজো মণ্ডপে। এবারও একইভাবে দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটবে বলে আশাবাদী পুজোকমিটির সদস্যরা। সার্বিক সুরক্ষার তাগিদে বুড়িমা পুজোকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণে মানুষের সমাগম হওয়াকে কেন্দ্র করে যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয় পূজা মণ্ডপ সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। এছাড়াও এই বছর পুজোয় প্রায় ১২ কেজি গহনা দিয়ে মাকে সাজিয়ে তোলা হবে। পাশাপাশি ভোর বেলায় অঞ্জনা নদীতে মায়ের নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
Mainak Debnath