বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটেছে।বর্ধমান শহরের খাগড়াগড় পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা রাজু খানকে বুধবার রাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসক ওই রোগীকে ছুটি দেন। কাগজপত্র ঠিক হওয়ার পর বাবাকে নিয়ে বেরতে গিয়ে ছেলে ফারিয়াজ খান লক্ষ্য করেন রোগীর হাতে স্যালাইনের চ্যানেল খোলা হয়নি। তখনই সেই কাজের জন্য টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। সিবিএস মেল ওয়ার্ডে ওই ঘটনা ঘটেছে।
advertisement
ফারিয়াজ বলেন, "বাবার হাতে থাকা স্যালাইনের চ্যানেলটি খুলে দেওয়ার জন্য সেখানে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের বলি। তখন তাঁদের মধ্যে একজন আমার কাছে টাকা চায়। টাকা না দিলে চ্যানেল খোলা হবে না বলে জানায় ওই কর্মী। আমি গরীব মানুষ। এত টাকা দিতে পারব না বলে জানাই। তখন আমাকে বলে তাহলে নিজেরাই খুলে নাও। নয় তো ওইভাবেই বাবাকে বাড়ি নিয়ে যাও।"
আরও পড়ুন, 'ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম,' শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে নাম না করে বললেন মমতা
এর পর ফারিয়াজ হাসপাতাল সুপারের অফিসে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। সহকারী সুপার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হন। নার্সিং সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স বা চিকিৎসককে দিয়ে চ্যানেলটি খুলে দেওয়ার জন্য। এর পর রাজু খানের হাতের চ্যানেল খুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, 'সরকার বাই দ্য এজেন্সি, অফ দ্য এজেন্সি, ফর দ্য এজেন্সি', প্রবল কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
হাসপাতাল সুপার তাপস ঘোষ জানান, সহকারী সুপার ঘটনার তদন্ত করছেন। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কেউ টাকা দাবি করে থাকলে তাকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।