বোন কিরণ গুপ্ত দাদার জন্যে সকালে প্রথম চা করছেন। কাল, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত শুধু গল্প হয়েছে। দাদা পছন্দ করেন দুধ চা খেতে। সেই চা-ই বানিয়েছেন বোন কিরণ৷
শনিবার সকালে নিউজ১৮ বাংলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ সাউ। জানান, তাঁর ছেলে তাঁকে বলেছে তাঁকে ব্রাশ করতে দেয়নি পাক সেনারা৷ স্নান করার অনুমতিও ছিল না৷
advertisement
আরও পড়ুন: জাল ওষুধের বিক্রি ঠেকাতে এবার বিশেষ নির্দেশ নবান্নের, এবার থেকে দোকানে দোকানে নজর
তবে অপারেশন সিঁদুরের সময় কি বেশি অত্যাচার চলেছিল পূর্ণমের উপরে? পূর্ণম অবশ্য জানিয়েছেন, সেই সময়টায় তিনি বন্দি থাকায় তেমন কিছু বুঝতে পারেননি৷ তবে প্রতিশোধ নেওয়া জারি থাকবে বলেও নাকি পরিবারকে জানিয়েছেন তিনি৷ জানিয়েছেন, ‘‘প্রতিশোধ নেব৷ অপরেশন আরও বাকি আছে৷’’
আরও পড়ুন: এক ট্রেনেই এবার ভুটান…IRCTC-র স্পেশাল ট্রেনে টোটাল খরচ কত? জেনে নিন দারুণ ব্যাপার
বর্ডার পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পরে বন্দি হয়েছিলেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। শুক্রবার পূর্বা এক্সপ্রেসে হাওড়া স্টেশনে ফেরেন পূর্ণমকুমার সাউ। সেখান থেকে হুগলির রিষড়ার বাড়িতে৷ সেখানে তখন বরণের থালা হাতে ধরে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর মা দেবন্তী সাউ৷ সেজেগুজে স্বামীর প্রতীক্ষায় থাকায় স্ত্রী রজনীর চোখেও ছিল আনন্দাশ্রু৷ রান্না করা হয়েছিল পূর্ণমের প্রিয় সব খাবার৷ ছানার ডালনা, পটলের তরকারি, চাটনি, দই, মিষ্টি। তিরঙ্গা আলোয় সেজে উঠেছে বাড়ি। কেক কেটে উদযাপিত হয় পূর্নমের বাড়ি ফেরা।