IRCTC Train to Bhutan: এক ট্রেনেই এবার ভুটান...IRCTC-র স্পেশাল ট্রেনে টোটাল খরচ কত? জেনে নিন দারুণ ব্যাপার
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
হাসিমারা থেকে, পর্যটকরা ফুয়েন্টশোলিং সীমান্ত দিয়ে ট্রেনের পর্যটকেরা ভুটানে প্রবেশ করবে। প্রথম দিনে থিম্পুর লোকাল মার্কেট এবং আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা হবে। পরের দিন থিম্পুতে মতিথাং চিড়িয়াখানা, চিত্রকলা স্কুল, জাতীয় গ্রন্থাগার, হস্তশিল্প বাজার এবং তাশি ছো ধং (থিম্পু ধং) ঘুরে দেখা হবে।
পড়শি দেশ ভুটান৷ অসাধারণ নৈসর্গিক সৌন্দর্য৷ একেবারে ঘরের পাশেই বলা যায়৷ একটু খরচ করলেই যেখানে করে ফেলা যায় ‘ফরেন ট্যুর’৷ পাহাড়ে ঘেরা অদ্ভুত সুন্দর একটা দেশ৷ এবার সেই ভুটান ভ্রমণের জন্যেও দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিল ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC)৷ ভারত ও ভুটানের মধ্যে সংযোগকারী একটি বিশেষ রেল যাত্রা শুরু হল৷ নাম, 'ভারত-ভুটান মিস্টিক মাউন্টেন ট্যুর'৷
advertisement
এই ট্রিপে ভারতের গুয়াহাটি, শিলং, চেরাপুঞ্জি এবং ভুটানের থিম্পু, পুনাখা এবং পারো কভার করা হবে। প্রথম গন্তব্য হবে গুয়াহাটি, যেখানে পর্যটকরা কামাখ্যা মন্দির পরিদর্শন করবেন। এর পরে শিলংয়ের উমিয়াম লেকে সূর্যাস্ত দেখা হবে। পরের দিন চেরাপুঞ্জির সেভেন সিস্টার্স ফলস, নোহখালিকাই এবং এলিফ্যান্ট ফলস এবং মাওসমাই গুহাগুলির মতো জায়াগাগুলি দেখে, ব্রহ্মপুত্র নদে থাকবে সূর্যাস্ত ক্রুজ উপভোগ করার ব্যবস্থা। এরপর ট্রেনটি হাসিমারা স্টেশনে যাবে, যা ভুটান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
advertisement
হাসিমারা থেকে, পর্যটকরা ফুয়েন্টশোলিং সীমান্ত দিয়ে ট্রেনের পর্যটকেরা ভুটানে প্রবেশ করবে। প্রথম দিনে থিম্পুর লোকাল মার্কেট এবং আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা হবে। পরের দিন থিম্পুতে মতিথাং চিড়িয়াখানা, চিত্রকলা স্কুল, জাতীয় গ্রন্থাগার, হস্তশিল্প বাজার এবং তাশি ছো ধং (থিম্পু ধং) ঘুরে দেখা হবে। এরপর সকলে যাবে পুনাখা৷ সেখানে পথে ফো চু এবং মো চু নদীর তীরে অবস্থিত দোচু লা পাস এবং পুনাখা ধং পরিদর্শন করবে। তারপর পারোতে ল্যাম্পেরি রয়েল বোটানিক্যাল পার্ক, তামচোগ লাখাং আয়রন ব্রিজ এবং পারো ধং পরিদর্শন করা হবে। পরের দিন টাইগার নেস্ট (তাকতসাং লাখাং) এবং জাতীয় জাদুঘর দেখার পরে পর্যটকরা ওষধি জল দিয়ে তীরন্দাজ এবং গরম পাথর স্নানের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথে নৈশভোজের আয়োজন থাকবে।
advertisement
advertisement
এর মধ্যে রয়েছে ট্রেন ভ্রমণ, ৩ তারকা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা, নিরামিষ খাবার, বাসে দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন, ভ্রমণ বীমা এবং ট্যুর গাইড। এই যাত্রা নিরাপদ এবং স্মরণীয় করে তুলতে আইআরসিটিসি সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা চালাবে। এই ভ্রমণ ভারত ও ভুটানের সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ।
advertisement
১৩ রাত ১৪ দিনের এই যাত্রা ২৮ জুন, ২০২৫ থেকে দিল্লির সফদরজং রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু হবে। এই আধুনিক বিলাসবহুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনটিতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির কোচ থাকবে, যাতে ১৫০ জন পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন। পর্যটকরা গাজিয়াবাদ, আলিগড়, টুন্ডলা জংশন, কানপুর, লখনউ এবং বারাণসী স্টেশন থেকেও এই ট্রেনে উঠতে পারবেন।