সূত্রের খবর, গত ৩ জুলাই এক মাসের ছুটি নিয়ে পাঞ্জাবে নিজের বাড়ি যান মঙ্গল। এরপর ৩ অগাস্ট তিনি পাঞ্জাব থেকে বিমানে করে কলকাতায় আসেন। চলতি মাসের ৭ তারিখে তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কাজে যোগ না দিয়ে কলকাতার ওই হোটেলে ওঠেন। এরপর থেকে সেখানেই থাকছিলেন।
আরও পড়ুনঃ খালের জলে ওটা কী? সাতসকালে হাড়হিম করা ঘটনা! চাঞ্চল্য দাসপুরে
advertisement
হোটেল কর্মীদের বয়ান অনুযায়ী, গত দু’দিন ধরে মঙ্গলকে তাঁর ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয় হোটেল কর্তৃপক্ষের। এরপরই তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মঙ্গলের নিথর দেহ উদ্ধার করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, হোটেলে থাকাকালীন নিয়মিত মদ্যপান করতেন মঙ্গল। রোজ প্রায় দু’টি মদের বোতল তিনি শেষ করতেন বলে খবর। ঘরের ভিতর থেকেও মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। পাঞ্জাবের বাসিন্দা এবং দিল্লিতে কর্মরত একজন বিএসএফ জওয়ান ছুটিতে থাকাকালীন কলকাতায় কেন এলেন? তিনি কি কারও সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? পুলিশ এই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। তাঁর কলকাতায় আসার কারণ এবং এখানে তাঁর পরিচিত কেউ ছিল কিনা, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গল ভিলানের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।