মহিষাদলে তৈরি হচ্ছে কাঁসা বা পিতলের প্রতিমা। প্রতিমা তৈরির এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আছেন স্থানীয় বহু মানুষ। এটাই মূলত রুটি-রুজি হয়ে উঠেছে। কাঁসা বা পিতলের এই প্রতিমাগুলো বিভিন্ন ধাপে তৈরি করা হয়। দক্ষ কারিগররা ধাপে ধাপে এগুলো তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: লাল পিঁপড়ের ডিম ভাতের যোগান দিচ্ছে ওঁদের! আমলাশোলের অন্ধকার ঘুচিয়ে নতুন পথের দিশা
advertisement
প্রথমে দেবদেবীদেরর মাটির মূর্তি তৈরি করা হয়। তার সাহায্যে তৈরি হয় মাটির ফাঁপা ছাঁচ। এরপর ফাঁপা ছাঁচকে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। মাটির খোল শোকানোর পর তার মধ্যে ঢালা হয় গরম তরল ব্রোঞ্জ বা পেতল। গরম ব্রোঞ্জ বা পেতলের তরল একসঙ্গে একেবারেই ঢালা হয় না। তা ধাপে ধাপে একটু একটু করে ঢালা হয়। এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ছাঁচ ভেঙে দেব দেবীর মূর্তি বের করা হয়। এর পরের ধাপে পালিশ করে মূর্তিগুলোকে সম্পূর্ণ আকার দেওয়া হয়।
মহিষাদলের এক কারখানার কারিগর গোপাল রানা জানান, এই মূর্তি তৈরির প্রতিটি ধাপে সুদক্ষ শিল্পীর প্রয়োজন। প্রাথমিক পর্যায়ে মাটির প্রতিমা সুচারুভাবে তৈরি না হলে ব্রোঞ্জ বা পেতলের প্রতিমাও ঠিকঠাক হবে না। ছাঁচে ঢালাইয়ের জন্য দক্ষ কারিগরের প্রয়োজন হয়। না হলে দেবদেবী মূর্তির ঢালাইয়ের সময় ছাঁচ ভেঙে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। সবশেষে পালিশ ও রঙের কারিগরের কাজ হয়। এখানে ৬ ইঞ্চি থেকে ১০ থেকে ১৫ ফুটের’ও দেবদেবীর মূর্তি তৈরি হয়। তবে সব থেকে বেশি হয় ছোট ছোট মূর্তি।
সৈকত শী