শুধু যাতায়াত নয়, সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে পড়ুয়াদের পড়াশোনায়। কারণ এক প্রান্তে ঘর নদীর অপর প্রান্তে বিদ্যালয়। স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয় যাওয়ার এখন প্রায় বন্ধ। সামনে পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সকলে। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস প্রশাসনের। প্রতিবছর যেন এমন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেশ কয়েকটি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে শিলাবতী নদী। দুই দিকের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম বাঁশ ও পাঠাতন বিছান একটি অস্থায়ী সাঁকো। তবে এবার বন্যার তোড়ে ভেঙে গিয়েছে সেই সাঁকোটি। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বান্দিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগপোতা এলাকার।
advertisement
কয়েকদিন আগের বন্যায় শিলাবতী নদীর জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে বাগপোতা এলাকায় থাকা কাঠের সেতুটি।নদীর দুই পাড়ের একাধিক গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় নদী পারাপারে চরম সমস্যায় পড়েছে একদিকে বাগপোতা,ভবানীপুর অপরপ্রান্তের শ্রীরামপুর,আটঘোড়া,হালদারবেড়,পালংপুর সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা।
সব থেকে সমস্যায় পড়েছে শিলাবতী নদী তীরবর্তী বাগপোতা হাইস্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়া। কারণ নদীর এক প্রান্তে স্কুল এবং অপর প্রান্তে একাধিক গ্রামের পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে। এই কাঠের সেতু পেরিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয় নদীর অপরপ্রান্তের গ্রামের পড়ুয়াদের।স্কুলের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পড়ুয়া এই কাঠের সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করত,সেতু ভেঙে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ,ফলে স্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়ার স্কুল আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে যোগাযোগের অভাবে।
আরও পড়ুন- বর্ষাকালে কত ডিগ্রিতে, কোন মোডে এসি চালানো উচিত? টিপস মানলে বিলও আসবে বেশ কম
জানা গিয়েছে, বাগপোতা ও শ্রীরামপুরের মাঝে শিলাবতী নদীর উপর কাঠের সেতু দিয়ে শ্রীরামপুর,আটঘোড়া,হালদারবেড়,পালংপুর গ্রামের পড়ুয়ারা বাগপোতা হাইস্কুলে যাতায়াত করত।সেতু ভেঙে যাওয়ায় এইসব গ্রামের পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে পারছেনা,স্কুলে আসতে হলে অনেক ঘুরপথে আসতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে সমস্যায় পড়তে হয়েছে সকলকে। শুধু তাই নয় সামনের মাসেই পরীক্ষা, স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ের না আসায় বেশ চিন্তায় রয়েছে শিক্ষকেরা।
বাগপোতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকান্ত পাল জানিয়েছেন, “স্কুলে মোট ৩০০ জন পড়ুয়া, তার মধ্যে ১৬০-৭০ জন পড়ুয়ার যাতায়াত এই কাঠের সেতুটি দিয়ে, বন্যায় সেতু ভেঙে যাওয়ায় এই সব পড়ুয়া স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক মাস পর পরীক্ষা রয়েছে। স্কুলের এতসংখ্যক পড়ুয়ার স্কুলে আসা বন্ধ থাকলে তারা পিছিয়ে যাবে।”
রঞ্জন চন্দ