আবাস প্লাস প্রকল্পে প্রায় লক্ষাধিক বাড়ি তৈরি হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়, আর সেই বাড়ি তৈরি করতেই লাগবে প্রচুর ইট। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে বাড়িগুলি তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন : ঘরেই হাজির পাহাড়! অসাধ্যসাধন করা শিল্পীর কীর্তিকে কুর্নিশ সকলের
advertisement
এর ফলে বেজায় খুশি ইটভাটার মালিকেরা। কেন না গত দুই বছর ধরে ইট শিল্পে বেশ মন্দা চলছিল, করোনার আতঙ্ক তো ছিলই, তার উপরে ছিল কয়লার দাম, ও জিএসটি নিয়ে নাবিশ্বাস ওঠার উপক্রম ।রুগ্ন হয়ে পড়েছিল ইটভাটা,কাজ হারিয়েছিলেন লক্ষাধিক শ্রমিক। ইট ভাটা সংগঠন সূত্রে একটি তথ্যে পাওয়া য়ায়, সেখানে বলা হচ্ছে রাজ্য ২০ শতাংশ ভাটা বন্ধ, ৪০ শতাংশ কোন রকমে চলছে, আর ৪০ শতাংশের অবস্থা মোটামুটি।
আরও পড়ুন : ভালবাসার স্পর্শ দেওয়া শীতলপাটির শিল্পীদের দিন কাটছে চরম অনটনে
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আবাস প্রকল্পে প্রথম দফায় শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বাড়ি হচ্ছে ১ লক্ষ ২৩৬ টি । সেই হিসেবে ইট লাগছে প্রায় ৪০ কোটি। প্রতিটি বাড়ি তৈরি করতে লাগবে ৪ হাজার ইট।বেঙ্গল ব্রিক ফিল্ড অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি প্রথম দফায় গোটা রাজ্যে বাড়ি হচ্ছে ১০ লক্ষ ২৯ হাজার। তার ফলে ৪০১ কোটি ১৬ লক্ষের মতো লাগছে সারা রাজ্যে ইট।
রাজ্যে ইটভাটা রয়েছে প্রায় ৯ হাজারের মতো। এক কথায় এই আবাস প্লাসের বাড়ি শুরু হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। ইটভাটা গুলিতে শুরু হয়েছে জোরকদমে কাজ।