Cooch Behar News: ভালবাসার স্পর্শ দেওয়া শীতলপাটির শিল্পীদের দিন কাটছে চরম অনটনে
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- local18
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Coochbehar Shitalpati: দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করছেন কোচবিহারের ধলুয়াবাড়ি এলাকার পাটি শিল্পীরা! দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবুও এই শিল্পীদের দোরগোড়ায় কোন সরকারি সাহায্য এসে উপস্থিত হয়নি।
সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করছেন কোচবিহারের ধলুয়াবাড়ি এলাকার শীতলপাটি শিল্পীরা! দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবুও এই শিল্পীদের দোরগোড়ায় কোন সরকারি সাহায্য এসে উপস্থিত হয়নি। তাই বর্তমানে এই কষ্ট বুকে চেপেই জীবন-যাপন করে চলেছেন এই শিল্পীরা। সামনেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় নির্ঘণ্ট আর কিছু দিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে।
তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন এই মানুষেরা। এই পাটি শিল্পীরা সকল স্তরের কাছে সরকারি সাহায্যের জন্য কাতর আর্তি জানাচ্ছেন। যদি সরকারি সাহায্য এই মানুষদের দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়। তবে জীবনযাপন করতে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন এই মানুষেরা।
এক এক পার্টি শিল্পী কোকন চন্দ্র দাম জানিয়েছেন "দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে এই পাটি বোনার কাজ করতে করতে। তবুও সরকারি সাহায্য মেলেনি কিছুই। পাটি শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে এখনও পর্যন্ত কোন সরকারি সুযোগ কিংবা সুবিধা পাননি বেশিরভাগ শিল্পী।"
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : উপকারিতা সত্ত্বেও বাঁধাকপি কিন্তু চরম ক্ষতিকরও! জানুন কখন এই সব্জি একদম খাবেন না
তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্র করে আবার আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন এই শিল্পীরা। দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজ করে সংসার চালিয়ে এলেও। বর্তমান সময়ে এই পেশার ওপর নির্ভর করে সংসার চালানো রীতিমতো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সময়ে অনেকেই বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে নিজেদের নিজেদের পাটি বানানোর কাজ বন্ধ করতে। তবে গ্রাম বাংলার বহু মানুষ এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে এখনোও পর্যন্ত রীতিমতো এই কাজই করে যাচ্ছে পাটি শিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন : দুটোই গোল, কিন্তু ছানাবড়া ও লেডিকেনির মধ্যে পার্থক্যও অনেক! জেনে নিন
view commentsকোচবিহারের ধলুয়াবাড়ি এলাকায় পাটি শিল্পীদের কাহিনীও তাদের থেকে আলাদা কিছু নয়। তবে নিপুণ হাতে বানিয়ে যাচ্ছেন এখনও বিভিন্ন ধরনের পাটি। তবে সরকারি সাহায্য না পেলে বেশিদিন এই শিল্প ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। পেটের তাগিদে এই শিল্প ছাড়তে বাধ্য হবেন এই মানুষেরাও। তাই এই মানুষদের কাতর আর্তি শুনে দ্রুত এদের সহায়তায় এগিয়ে আসা উচিত সরকারের।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 17, 2023 9:38 PM IST