Chhanabora and Ledikeni: দুটোই গোল, কিন্তু ছানাবড়া ও লেডিকেনির মধ্যে পার্থক্যও অনেক! জেনে নিন

বঙ্গদেশের মতো মিষ্টির বাহার অন্য জায়গায় বিরল৷ সামান্য উপকরণ দিয়েই অসামান্য স্বাদ খোলতাই হয় বাংলার ময়রাদের হাতে৷ ছানা বা ক্ষীরের রকমফেরেই জন্ম নেয় জিভে জল আনা মিষ্টান্ন৷ বাংলার মিষ্টির মধ্যে অন্যতম হল ছানাবড়া ও লেডিকেনি৷ দুটিই আকারে গোল হলেও স্বাদে কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা৷

আমরা অনেকেই এই মিষ্টি দু’টিকে গুলিয়ে ফেলি৷ আলাদা করতে পারি না৷ আসুন, দেখে নিই এই দুই মিষ্টির বৈশিষ্ট্য৷ ছানাবড়ার আঁতুড়ঘর কিন্তু মুর্শিদাবাদ৷ বহরমপুর শহরে একের পর এক দোকানে এর স্বাদ মুগ্ধ করে৷

নবাবি আমল বা তার আগে থেকেই ছানাবড়ার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে৷ কারিগর পটল ওস্তাদ এর স্রষ্টা বলে প্রচলিত৷ চক্ষু ছানাবড়া কথাটি এসেছে এই মিষ্টির আকার থেকেই৷

লেডিকেনির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন লেডি ক্যানিং বা কাউন্টেস ক্যানিং বা শার্লট ক্যানিং ৷ তাঁর স্বামী চার্লস ক্যানিং ১৮৫৬ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন৷ সিপাহি বিদ্রোহ উত্তর পর্বে তিনি হন ভারতের প্রথম ভাইসরয়৷

স্বামীর সঙ্গে ভারতে আসার পর কলকাতা এবং তার থেকেও বেশি ব্যারাকপুরকে ভালবেসে ফেলেন লেডি ক্যানিং৷ তাঁকে সম্মান জানাতে শ্রেষ্ঠ ময়রা ভীম নাগ তৈরি করেন এক নতুন মিষ্টি৷ নাম দেন লেডি ক্যানিং, সেটাই লোকমুখে হয়ে যায় লেডিকেনি৷

তৈরির সময় ছানাবড়া দু’বার ভাজা হয়৷ একবার হাল্কা আঁচে, তার পর কড়া বা বেশি আঁচে৷ লেডিকেনি কিন্তু এক বারই ভাজা হয়৷

ঘন কালো ছানাবড়ার আবরণ তুলনামূলক ভাবে শক্ত৷ প্রথম কামড়ের পর কিন্তু ভিতরে নরম পুর৷ অন্যদিকে লালচে বাদামি রঙের লেডিকেনি কিন্তু প্রথম থেকেই নরম তুলতুলে৷

সেরা স্বাদের ছানাবড়া এখনও পাওয়া যায় মুর্শিদাবাদেই৷ লেডিকেনির কিন্তু এখন আর সেরকম স্থানমাহাত্ম্য নেই৷ কলকাতা তথা বাংলার বহু দোকানে ভাল লেডিকেনি কিনতে পাওয়া যায়৷

ভাজার পর ছানাবড়া একদিন রসে মজিয়ে তুলে ফেলা হয়৷ লেডিকেনি কিন্তু রসে ডুবিয়েই রাখা হয়৷ বিক্রির সময় রস থেকে তুলে ক্রেতাকে দেওয়া হয়৷

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।