অভিযোগ, বিএলআরও অফিসগুলো জমি মাফিয়াদের নকল দলিল নিয়ে প্রকৃত জমির মালিকদের নাম কেটে অন্যের নামে তা নথিভুক্ত করে দিচ্ছ। বিনিময় নিচ্ছে মোটা টাকা। আর অসহায় মানুষগুলো যখন বিএলআরও অফিসের ক্লার্কের কাছে আসছেন ওই রেকর্ড সংশোধন করতে, তখন সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, টাকা না দিলে এক ধাপ কাজও হবে না।
আরও পড়ুনঃ টানা ১০ দিনকাজ হচ্ছে না ডায়মন্ড হারবার পোস্ট অফিসে, অসুবিধার সম্মুখীন গ্রাহকরা
advertisement
২০২১, ২০২২ এবং ২০২৩ সালের ফাইল টোপকে ২০২৫-এর ফাইল ধরতে গেলে টাকার দরকার। সরাসরি হাত পেতে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে বিএলআর অফিসে। এই ছবি চলে এসেছে লোকাল ১৮ বাংলার হাতে। জয়নগর এক নম্বর বিএলআর অফিসের ক্লার্ক নীলরতন মণ্ডল প্রকাশ্যে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে হাত পেতে টাকা নিচ্ছেন। সেই দৃশ্য সামনে আসতেই সরাসরি তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়। রীতিমত হতভম্ব হয়ে যান তিনি। এই বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একটু চাপ দিতেই নীলরতন মণ্ডল নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ চান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ওই ভিডিওটি দেখানো হয়। এরপরেই চুপ করে যান তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পরেও তাঁদের কাজ হচ্ছে না। এই দুর্নীতির শেষ কোথায় জানতে চায় মানুষ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন নীলরতন মন্ডল। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যক্তি আমার কাছে একটি অবৈধ কাজ নিয়ে আসছিল এবং সেই কাজটি আমি করে না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এই ভিডিও বানানো হয়েছে। তবে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আমি ৫০০ টাকার নোট নিয়েছি। সেটা ওই ব্যক্তির একটি জমির তথ্য তোলার জন্য আমাকে দেওয়া হয়। সরকারি রেভিনিউ বাবদ কুড়ি টাকা কেটে আমি বাকি ৪৮০ টাকা ফেরতও দিয়েছি। তবে সেই ভিডিও আর তোলা হয়নি। তাই আমি চাই সঠিক তদন্ত হোক।”