খয়রাশোল ব্লকের বড়রা, বাবুইজোড়, পারশুন্ডি ও পাঁচড়া পঞ্চায়েত এলাকায় পোকার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। একের পর এক জমি ফসলহীন হয়ে পড়ছে। কাঁকরতলা গ্রামের চাষি খুরশিদ আলম ওরফে আলাউদ্দিন বলেন, পোকা এমনভাবে ছড়িয়েছে যে আজ যেখানে একটু দেখবেন, কালকের মধ্যেই পুরো জমি শেষ। আমি নিজে আট বিঘে চাষ করেছি, তার মধ্যে মসজিদের চার বিঘে জমিও আছে, সব খেয়ে ফেলেছে। প্রচুর ওষুধ দিয়েও কিছু করা যাচ্ছে না। রাতে ঘুম হয় না, ঋণ করেছি, এখন সব শেষ।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘রাজধানী এক্সপ্রেসে’ বসে পড়াশোনা করার অনুভূতি, ক্লাসরুম দেখে রোজ আসছে পড়ুয়ারা! ছোটদের শেখার মজা দ্বিগুণ
আরেক চাষি শেখ সালাউদ্দিনের কথায়, আমাদের এলাকায় কোনও চাষি ভাই বাকি নেই, সবার জমিতেই শোষক পোকার আক্রমণ। আমি পাঁচ বিঘে চাষ করেছি, তার মধ্যে তিন বিঘে সম্পূর্ণ নষ্ট। এখন আমরা চাই সরকার তদন্ত করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ অনেক হলেও চাষিদের ওপর আর্থিক চাপ পড়বে না। কারণ, ক্ষতিগ্রস্তদের শস্যবিমার আওতায় আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিশেষ ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : বর্জ্য প্লাস্টিক ভর্তি বোতল জমা করলেই মিলছে ২ টাকা,পড়ুয়াদের আগ্রহ তুঙ্গে! দূষণ রুখতে অভিনব ভাবনা
রাজনগর ব্লকের কৃষি আধিকারিক অভিজিৎ মন্ডল বলেন, এ বছর বৃষ্টিপাত অনিয়মিত ও অতিরিক্ত হওয়ায় বাদামী শোষক পোকার বৃদ্ধি হয়েছে। ধান যখন দুধ অবস্থায় থাকে, সেই সময় পোকা গাছের রস শুষে নেয়। ফলে গাছ খড়ের মত রং ধারণ করে এবং শুকিয়ে যায়। আক্রমণ ১০-১৫ দিন আগেই শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানান, চাষিদের আমরা ডিপলেট ও পরামর্শ দিয়েছি ১০ ফুট অন্তর পাস ভেঙে আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে, যাতে পোকার বৃদ্ধি রোধ করা যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়ও তিনি আরও বলেন, জমির জল নিষ্কাশন করতে হবে এবং প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। নিচু জমিতে জল না বেরোতে পারায় ক্ষতি বেশি হয়েছে, তবে উঁচু জমিতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। একদিকে বাদামী শোষক পোকার থাবা, অন্যদিকে ঋণের বোঝা এই দু’ইয়ের মাঝখানে নিঃস্ব প্রায় বীরভূমের কৃষক সমাজ।





