প্রত্যন্ত গ্রামের এক চাষী পরিবারের ছেলে, ছোট থেকে স্বপ্ন দেখতেন ভারত মায়ের সেবা করার। সেই স্বপ্নকে সত্যি করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ সেবার কাজে নেমেছিলেন আখতারুল জামান। আর এবার ১৫ দিনের ছুটিতে যখন বাড়ি ফিরলেন, তখন যেন উৎসবের মেজাজ ছড়িয়ে পড়ল পুরো গ্রামে।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁর কাদিয়াটি গ্রামের আখতারুল ৬ মাস আগে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে রাজস্থানে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এবার ছুটিতে বাড়ি ফেরার দিন সকাল থেকেই সাজ সাজ রব। বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে যুবকরা হুড খোলা গাড়িতে পুষ্পবৃষ্টি, বাইক র্যালির মাধ্যমে রাজকীয় ভাবে বরণ করে নেন আখতারুলকে।
কেউ ফুল দিয়ে, কেউ মালা পরিয়ে আখতারুলকে বরণ করে নেন। উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গ্রাম। বামনপুকুর হুমায়ুন কবীর মহাবিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় বাইক র্যালি। দেশপ্রেমের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় রাস্তা। গ্রামের মায়েরা প্রিয় ছেলেকে সাদর অভ্যর্থনা জানান, শিশুদের মধ্যেও উৎসাহ চোখে পড়ার মতো।
গ্রামে পৌঁছে আখতারুল ফৌজি কায়দায় পিতা-মাতাকে স্যালুট জানিয়ে নিজের সেনা ক্যাপ তাদের মাথায় পরিয়ে দেন। আবেগে ভেসে যায় পরিবার। গর্বে আত্মহারা বাবা-মা এবং এলাকার মানুষ। চাষের জমি থেকে ছেলের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া এবং আজ এই রাজকীয় সংবর্ধনা, গ্রামের প্রত্যেক মানুষের চোখে যেন ভাসছে গর্ব ও আনন্দের ঝলক। ছোটবেলার স্বপ্নকে সত্যি করে নিজের সাফল্যকে পরিবারের কাছে উৎসর্গ করে গেলেন আখতারুল জামান, রেখে গেলেন গ্রামের যুবসমাজের জন্য এক অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত।
জুলফিকার মোল্যা