পরিবার সূত্রে খবর, দু'বছর আগে গড়িয়া নাকতলা এলাকায় একটি বৃদ্ধাশ্রমের কাজ করত তাদের মেয়ে। সেখানেই ভাঙড়ের মাধবপুর এলাকার বাসিন্দা খোকন বাছারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। খোকন নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে ওই তরুণী সঙ্গে। পরে খোকনের বিয়ের কথা জানতে পেরে সম্পর্ক থেকে সরে আসে ওই তরুণী। তারপর বেশ কিছুদিন বাড়িতেই থাকে কর্মহীন অবস্থায়। পরিবারে অভাব-অনটন থাকায় আবার সে বালিগঞ্জের একটি আয়া সেন্টারে কাজ শুরু করে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেডেই সুকান্ত মজুমদারের কাছে হঠাৎ ফোন, কথা হল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে...
আরও পড়ুন: নাকা চেকিংয়ে থামল পরপর দুটি গাড়ি, ভেতর থেকে যা উদ্ধার হল, পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ
খোকন বিষয়টি জানতে পেরে গত মঙ্গলবার বালিগঞ্জে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করে। তারপর গল্প করতে করতে ট্রেনে চেপে মেয়েটিকে সোনারপুরে নামিয়ে নেয়। সোনারপুর স্টেশনে মাদক মেশানো মুড়ি খাইয়ে মেয়েটিকে সংজ্ঞাহীন করে দেয়। সোনারপুর স্টেশন থেকে রাতের অন্ধকারে কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় নিয়ে আসে একটি গাড়িতে করে। সেখানে প্রথমে তার চোখ দুটি নষ্ট করে দেয়। তারপর গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের চেষ্টা করে। তরুণীর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে মারা গেছে ভেবে পালিয়ে যায় খোকন বাছার। সকালে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় খোকন বাছারকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।
