ব্যালকনি বারান্দা বা অফিস রুমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন গাছের সঙ্গে বনসাই ব্যবহারের রীতি বা রেওয়াজ দারুণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এদেশেও। বনসাই শিল্পকর্ম সারা পৃথিবী জুড়ে দারুন সারা ফেলছে বর্তমান সময়ে। একাংশের মানুষ সৃজনশীল ভাবনায় গাছে শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলছেন, আর সেই শিল্পকর্ম একশ্রেণীর মানুষ ভীষণভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এই সমস্ত জিনিস বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গাছের বনসাই সৌন্দর্যের ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে মানুষের মন। এই বনসাইয়ের সৃষ্টি বা শিকড় যদি বলা যায় তা হল ‘জাপান ‘।
advertisement
পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গাছ অনন্য। বর্তমানে শুধু গাছ বাগানেই সীমাবদ্ধ নয়, অফিস ঘর থেকে মানুষের বসার জায়গা থেকে শোবার ঘর এমনকি কিচেন ঘরের এক প্রান্তেও শোভা বর্ধন করতে রাখা হচ্ছে গাছ। ফুল ফল ও বাহারি গাছের সঙ্গে এবার মানুষের পছন্দের স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বনসাই গাছ। দিন দিন বনসাই এর প্রতি আগ্রহ বা আকর্ষণ মানুষের ভীষণভাবে বাড়ছে। সেই আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়েই আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে এবার প্রায় ২০০ শত বনসাই, প্রায় ১০০ প্রজাতি এবং ৩০ পরিবার গোত্রীয় গাছ সম্ম্যায়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে গড়ে উঠেছে বনসাই বিভাগ।
যেখানে স্থান পেয়েছে বট অশ্বত্থ পাকুড় তেঁতুল, বিলেতি তেঁতুল, কোকো, বাওবাব, ফাইকাশ সহ বিভিন্ন গাছ রয়েছে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের অফিস বিল্ডিং সংলগ্ন চরক উদ্যান ও বোনজ ফলের বাগানের সামনে গড়ে তোলা হয়েছে এই বনসাই বিভাগ।