তাঁর ছেলে অলকেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে একটি বাড়ি করেছিলেন।যে বাড়িতে বেশ কিছুদিন ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।সেই বাড়িই ভেঙে ফেলা হচ্ছিল।তবে পৌরসভার উদ্যোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাড়ি ভাঙ্গার কাজ।তবে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যবাহী বাড়ি কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় আলোচনায় বসছে বোলপুর পুরসভার সদস্যরা।
‘রাম’ শুধু মদ নয়, ‘মহৌষধ’! এইভাবে খেলেই ১০ রোগ থেকে মুক্তি…! জানেন রামের এই আশ্চর্য ‘গুণ’?
advertisement
দরজায় তালা বন্ধ করে শান্তিনিকেতনে প্রখ্যাত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যমন্ডিত বাড়ি ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ করলবোলপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক পুরসভা, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। এই মর্মেই একদিকে যেমন সরজমিনে দেখার পর রিপোর্ট তৈরিতে ব্যস্ত ভূমি আধিকারিকারা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার পুরসভা কর্তৃপক্ষ আপাতত বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বোলপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ ২২টি ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি পুর সদস্যদের নিয়েই জরুরী বৈঠকে বসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
আলোচনা করা হবে কীভাবে ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।অথবা জেলা প্রশাসন ও সর্বোচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা সাপেক্ষে অবনপল্লীতে শিল্পীর এই ‘আবাস’ নামক বাড়িটি কীভাবে রক্ষা করা যায় ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। প্রায় মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া কয়েক দশকের ঐতিহ্যমন্ডিত বাড়ি ভাঙা নিয়েই ক্ষোভ, আক্ষেপ তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী প্রবীণ আশ্রমিকদের মধ্যে।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিবারের ব্যক্তিগত জমি সম্পত্তি হলেও কী কারণে বাড়িটি বিক্রি করতে হল!ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি বিক্রি নিয়েই শোরগোল পড়েছে শান্তিনিকেতন। জানা যায় মালিকানাধীন ওই জমি অবন ঠাকুরের পরিবারের। সদস্যরা এক প্রোমোটারকে বিক্রি করে দিয়েছেন।সেখানে বহুতল আবাসন নির্মাণ করা হবে।সেই লক্ষ্যে ওই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়।ওই বাড়ি হেরিটেজের আওতায় রয়েছে কিনা, তা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছেন জেলাশাসক বিধান রায়।
সৌভিক রায়