তবে গ্রামের পড়ুয়াদের যাতে তা না হয় সে জন্য তিলে তিলে নিজের জমানো টাকা থেকেই পড়ুয়াদের জন্য পাঠাগার তৈরি করেছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন পড়ুয়া। রতনপুর গ্রামে নিজের জমিয়ে রাখা প্রায় কয়েক হাজার টাকা খরচ করে ওই পাঠাগার তৈরি করেছেন তিনি।পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয় সে জন্য স্কুলের বই থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই, প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোট গল্প, শিশু সাহিত্যের সম্ভারও রাখা হয়েছে।শুধু পড়ুয়ারাই নয়, গ্রামের সাধারণ মানুষও থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষেরাও বই সংগ্রহ করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।সপ্তাহে এক বার একটি বই তোলা যাবে। দু’মাসের মধ্যে সেই বই ফেরত দিয়ে আবারও একটি বই তুলতে পারবেন পাঠক।
advertisement
অন্যদিকে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন যাদের বাড়িতে বই পড়ে রয়েছে তারা যেন এসে সেই বই এই গ্রন্থাগারে এসে জমা দেন।তাহলে সেই বই পড়ে কিছু মানুষেরা বইমুখী হবেন। আপাতত প্রত্যেক রবিবার সর্বসাধারণের জন্য এই পাঠাগার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কালীকৃষ্ণ জানান, “এই অঞ্চলে বহু গরিব পরিবারের ছেলেমেয়ে রয়েছে। তাদের অনেকেরই বই কিনে পড়ার ক্ষমতা নেই। তাই এই উদ্যোগ। আশা করি এই গ্রন্থাগারকে বাঁচিয়ে রাখতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা পাব।”
শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি কালীকৃষ্ণ বাচ্চাদের নাচ, গান আঁকা শেখানো থেকে শুরু করে বছরের বিভিন্ন সময় গরিবদের মধ্যে বস্ত্র দান-সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক শিবির আয়োজন করে থাকেন। তার এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করে থাকেন এলাকার বিভিন্ন সাধারণ মানুষজন।