জানা গিয়েছে, গোসাবা থেকে গদখালি যাচ্ছিল নৌকাটি। স্থানীয় চন্ডিপুর ঘাটের কাছে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয় নৌকার মাঝি বেশ কিছুটা দিশাহারা হয়ে পড়েন। যদিও সাহস করে মাঝি নৌকাটি নদীর চরে নিয়ে যান। সেখানে ম্যানগ্রোভের ডাল ধরে কোনওক্রমে বড় বিপদ থেকে বাঁচেন নৌকার যাত্রীরা। নৌকাটিতে ৬০ যাত্রী ছাড়াও কয়েকটি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য সরঞ্জাম ছিল। হঠাৎ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রাণ ভয়ে চিৎকার করতে থাকেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে এসে ওই যাত্রীদের উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন।
advertisement
ক্ষনিকের দমকা হাওয়ায় মাঝ-নদী থেকে টালমাটাল খাওয়ান নৌকো ও তার যাত্রীরা বেঁচে যায় চরম বিপদ থেকে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গোসাবা থেকে গদখালি প্রায় সব নৌকাই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের ওই নৌকাগুলি চড়ে নদী পারাপার করতে হয়। নৌকাগুলির এই বিপজ্জনক যাত্রা নিয়ে কোন প্রশাসনিক পর্যায়ে নজরদারি নেই। ফলে তারা অতিরিক্ত আয় করার জন্য নৌকাগুলিতে যাত্রী ধারণ থেকে বেশি যাত্রীদের তোলে।
ঝড়-বৃষ্টির সময় নৌকাগুলি আবহাওয়ার নির্দেশ মানে না। ফলে ওই নদীতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার অবশ্য ৬০ জন নৌকার যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান। এদিকে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করে বলা হচ্ছে, আকাশে কালো মেঘে আনাগোনা শুরু হলে এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত শুরু হলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে নদীপথে যাতায়াতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় স্থানীয় পুলিশ। তারা যাত্রীদের উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দমকা হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি ঘটেছে। সকল যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কোনও হতাহতের খবর নেই। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানান হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সুমন সাহা