বিহারের চিরাইয়া থানার লালবেগিয়া এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ কুমারের পরিবারের পাঁচজন ছিলেন বাসে। দুর্ঘটনা মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ কুমারের ছোট ভাই অমরজিৎ কুমার ও মা মীরা দেবীর। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের দিকে যাওয়ার পথে একটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। জানা গিয়েছে, যাত্রীরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। গঙ্গাসাগরের স্নান সেরে ফিরছিলেন তারা। পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের নলা ফেরিঘাট এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ জনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভলভো বাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের অ্যাক্সিডেন্ট হয়, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যারা আহত ছিল তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় চিকিৎসার জন্য।
প্রত্যক্ষদর্শী জিয়াউর রহমান জানান, স্বাধীনতা দিবসের দিন একটা দুঃখের দিনে পরিণত হবে আমরা ভাবতে পারিনি। পুন্যার্থী বোঝাই একটি গাড়ি আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল ঠিক ফাগুপুর এবং ফেরিঘাটের মধ্যবর্তী এলাকায় একটি লরি দাঁড়িয়েছিল। পুন্যার্থী বোঝাই গাড়িটি সজরে গিয়ে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে। অপর প্রত্যক্ষদর্শী সেখ আজিজুল হক বলেন, একটি ১২ চাকা গাড়ি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল, তারকেশ্বর থেকে বাসটা আসছিল জল ঢেলে, সম্ভবত ড্রাইভার ঘুমিয়ে গাড়িটি এসে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। কয়েকজন মারা যায়, বেশ কয়েকজন আহত হয়।বাসটি বিহারের দিকে যাচ্ছিল।