Weekend Trip: কলকাতার কাছেই 'ভার্জিন' এই সমুদ্র সৈকত! কিন্তু আজও খোঁজ পাননি ৯০% মানুষই, চলতি ছুটিতে গাড়ি থাকলে ঘুরে নিন
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Saikat Shee
Last Updated:
Weekend Trip: প্রাচীন লাইট হাউস, অনতিদূরে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। এমনকি আজও বর্তমান কপালকুণ্ডলা মন্দির। এছাড়া আশেপাশে রয়েছে সমুদ্র সৈকত, যা পুরোপুরি ভার্জিন অবস্থায়।
*দিঘা, মন্দারমণির জনকলাহল ছেড়ে এবার বেড়াতে আসুন খেজুরির সৈকতে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটন কেন্দ্র মানে সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্র। সবচেয়ে জনবহুল দিঘা, পাশাপাশি রয়েছে মন্দারমণি, শংকরপুর, তাজপুর। কিন্তু সব সময় এই সমুদ্রকেন্দ্রিক পর্যটনকেন্দ্রগুলি পর্যটকের ভিড়ে সরগম থাকে। ভিড় এড়িয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়াতে চাইলে চলে আসুন খেজুরি।
advertisement
advertisement
*দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর ও শংকরপুরের মতো জনবহুল সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্রগুলি ছেড়ে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে খেজুরি সৈকত। খেজুরি সৈকতে রয়েছে বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি। আশেপাশে বহু ঐতিহাসিক স্থল। ফলে পর্যটকেরা খেজুরি সৈকতে বেড়াতে এলে সমুদ্রের ঢেউয়ের মজার সঙ্গে ঘুরে দেখতে পারবেন একাধিক ঐতিহাসিক জায়গা।
advertisement
*খেজুরিতে এলে আপনি হুগলি নদীর মোহনা দেখতে পাবেন। বিস্তৃত বালিয়াড়ি মন ভোলাবে। খেজুরিতে রয়েছে হিজলী শরীফ, প্রাচীন ডাকঘরের ধ্বংসাবশেষ। প্রাচীন লাইট হাউস। অনতিদূরে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। এমনকি আজও বর্তমান কপালকুণ্ডলা মন্দির। আশপাশে রয়েছে অনেকগুলি সমুদ্র সৈকত, যা পুরোপুরি ভার্জিন অবস্থায়।
advertisement
*বর্তমান সময়ে খেজুরিতে ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। তবে খেজুরিতে রয়েছে পরিকাঠামোর অভাব। পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি স্থানীয়দের। আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক ও শিক্ষক সুদর্শন সেন জানান, 'খেজুরির ইতিহাস অনেক প্রাচীণ। রাজা রামমোহন রায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এলাকা খেজুরি। আশেপাশে রয়েছে একাধিক ঐতিহাসিক স্থান। তাই খেজুরি সৈকত ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র বদলে যাবে।'
advertisement
*কীভাবে আসবেন? কলকাতা বা হাওড়া থেকে সরাসরি বাসে করে আসা যায়। রাত্রিবাসের জন্য একাধিক বেসরকারি লজ ও হোটেল রয়েছে। বর্তমানে খেজুরিতে একটি সংগঠনের উদ্যোগে হেরিটেজ খেজুরিকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসার চেষ্টা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে সব মিলিয়ে যেকোনও মরশুমে ছুটির দিন বা সপ্তাহ শেষে প্রিয়জন অথবা পরিজনের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতে হলে চলে আসুন খেজুরি।