সেই জীবিত কুণ্ডেই এখন সংস্কারের কাজ চলছে। কুণ্ড সংস্কারের জন্য পুকুরের সমস্ত জল পাম্প করে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে চলে এসেছে জীবিত কুণ্ডের মূল কাঠামোটি। দেখতে অনেকটা ডোবার মতো। জীবিত কুণ্ডের মূল কাঠামো থেকে নাকি জল আর বের করে যাচ্ছে না! যতবার জল তুলে বাইরে ফেলা হচ্ছে, ততবারই ভরে উঠেছে কুণ্ডটি। এমন এক দৃশ্য ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলছেন এই সবটাই নাকি মা তারার মহিমা।
advertisement
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “জীবিত কুণ্ডর ঘাটে আসল যে কুণ্ডটি রয়েছে আমরা যতবার সংস্কার করতে গিয়েছি সেই কুণ্ডর মধ্যে জল থেকে গিয়েছে, আর এই জীবিত কুণ্ড ঘাটের এক ইতিহাস আছে, সেই থেকেই এই ঘাটের নাম জীবিত কুণ্ড। এর আগেও আমরা একাধিকবার সংস্কার করতে গেছি, কোনও বার সফল হয়নি”।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এর পাশাপাশি তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত পুলক চট্টোপাধ্যায় জানান, ” তারাপীঠ মন্দির পুজো দিতে এসে ভক্তরা যে পুকুরটি দেখতে পায় সেটি আসল পুকুর নয়, সেই পুকুরের নিচেই রয়েছে আসল জীবিত কুণ্ড, অতিরিক্ত পরিমাণে জল থাকার কারণে সেই আসল কুণ্ডটি দেখা যায় না। তবে বর্তমানে প্রায় ছয় মাস ধরে ঘাট সংস্কার করার জন্য আসল কুণ্ডর জল মারার চেষ্টা করা হলেও, সেই জল পুনরায় বেড়ে যাচ্ছে। এটাই এক অলৌকিক ঘটনা বলে বিশ্বাস। আর এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বহু ভক্ত তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় করছেন।”
অন্যদিকে এক ইতিহাস শিক্ষক সুব্রত মণ্ডল জানান, “ভক্তদের বিশ্বাস এটি এক অলৌকিক ঘটনা, তবে তারাপীঠ যেহেতু জলাশয় জায়গা তাই এই কুণ্ডর জলের গভীরতা অনেকটাই বেশি হতে পারে সেই কারণেই হয়তো সেই জল তুলে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না, বিশেষজ্ঞরা যদি খোঁজ শুরু করেন তাহলে হয়তো এর পিছনে কী কারণ সেটা জানা সম্ভব হবে।”





