কোনও আইন এবং নিয়ম না মেনে সেখানে তৈরি হচ্ছে বড় বড় হোটেল থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ। ফলে নষ্ট হচ্ছে সেখানকার পরিবেশ। এই কারণে সোনাঝুরি জঙ্গলকে বাঁচাতে পরিবেশ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি জঙ্গল এবং হাট ঘুরে দেখে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাট চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বর্জ্য থেকে শুরু করে প্লাস্টিক। হাট সংলগ্ন রিসর্টগুলির বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হয়নি জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুভাষ দত্ত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কাপল ফ্রেন্ডলি রিসর্ট, সামনে উন্মুক্ত গঙ্গা, গরমের ছোট্ট ছুটির সেরা গন্তব্য এটাই, রইল ঠিকানা
যত দিন গিয়েছে, হাট ততই বড় হয়েছে। বর্তমানে সেই হাট শ্যামবাটির মোড় থেকে খোয়াই বন যাওয়ার রাস্তার ধারেও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে জঙ্গলের পরিবেশ নানা ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। কোথাও জঙ্গলের মধ্যে অবাধে পড়ে থাকছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ও বোতল। কোথাও হাটে বসার জন্য গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। আবার হাটকে কেন্দ্র করে শয়ে শয়ে গাড়ি জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে হাট এক সময় শুধুমাত্র শনিবার বসত, এখন সেটি সপ্তাহে ছ’দিন বসেছে। যার ফলে সোনাঝুরির জঙ্গলের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত এসে হাটে বসা ব্যবসায়ী থেকে শুরু রিসর্ট মালিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। আর এরপরেই পর্যটকেরা মনে করছেন তাহলে এবার বন্ধ হতে চলেছে সোনাঝুরির হাট? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
সৌভিক রায়