যা চলে আসছে প্রায় সাড়ে ৩৫০ বছর ধরে। মোদক সমাজের সদস্যদের কথায় জানা যায়, এই গণেশ জননীই তাঁদের কুলদেবী। দেবীর কোলে থাকে সিদ্ধিদাতা গণেশ, দু’পাশে দেবী লক্ষ্মী ও দেবী সরস্বতী। সমাজের প্রবীণ সদস্যদের মতে, প্রয়াত কেদার রুজ এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। তাঁতিপাড়া, বক্রেশ্বর, গোহালিয়ারা, লাউজোর ও খয়রাডিহি -এই পাঁচ এলাকার প্রায় শতাধিক ময়রা পরিবার আজও এই ঐতিহ্য মেনে পুজোয় অংশ নেন।
advertisement
আরও পড়ুন: হাঁটতে হাঁটতে কখন নদীতে তলিয়ে গেল বুঝতে পারল না কেউ! জলপাইগুড়িতে মর্মান্তিক পরিণতি আড়াই বছরের শিশুর
মোদক সমাজেরই সদস্য সোমনাথ দে বলেন, “এই গণেশ জননী পুজো প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো। আজও প্রতিটি ময়রা পরিবারে পুজোর দিনে পুঁটিমাছ ও বরবটি দিয়ে রান্না করা বাধ্যতামূলক। এটাই আমাদের সমাজের প্রাচীন রীতি। পূর্বে এই পুজোকে কেন্দ্র করে যাত্রা, নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। এসব ময়রারা পরিচালনা করতেন। এখন সেসব নেই, তবে ভক্তি ও নিষ্ঠা একেবারে অটুট।” প্রবীণ সদস্য সুধীর রূজ বলেন, “আমাদের গণেশ জননী পুজো প্রায় ৩৫০ বছরের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মোদক সম্প্রদায়ের পুজো হিসেবে এটি আমাদের গৌরব। একসময় এই পুজো উপলক্ষে বহু অনুষ্ঠান হত, এখন সেসব অতীত। তবে আজও ভক্তিভরে মা’র পুজো হয়। সকলকেই আমরা মন্দিরে এসে এই পুজো দেখার আমন্ত্রণ জানাই।” বছরের পর বছর ময়রাদের কুলদেবী গণেশ জননী পুজো শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, সমাজের ঐতিহ্য, বিশ্বাস, পরিচয় এবং সংস্কৃতিরও বাহক। তাই শতাব্দী পেরিয়েও একই ভক্তি ও আস্থায় আজও বেঁচে আছে এই বিরল লোকাচার।





