বেশিরভাগই নেপালি বহু বছর আগে কাজের সন্ধানে পরিবার পরিজন ছেড়ে বোলপুরে এসেছিলেন। বর্তমানে বোলপুর মিশন কম্পাউন্ড এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দা হলেও আত্মীয়-পরিজন রয়েছেন নেপালে। তাঁদের আত্মীয়-স্বজনেরা কেউ থাকেন কাঠমান্ডুতে, কেউ আবার পোখরা, জনকপুর বা নেপালের অন্য কোনও জায়গায়।
advertisement
উৎকণ্ঠা বেড়েছে সেই সব পরিজনদের নিয়েই। এর পাশাপাশি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ বিদেশের বহু পড়ুয়া পড়াশোনা করেন। তেমনি রয়েছে নেপালি দুই পড়ুয়াও, তারাও দুশ্চিন্তায় নিজের পরিবার নিয়ে। বোলপুর মিশন কম্পাউন্ডের বাসিন্দা বলেন, “আমরা বহু বছর আগে থেকে এখানে কর্মসূত্রে বসবাস করি ঠিকই। কিন্তু মন পড়ে থাকে দেশের বাড়িতে। কারণ আত্মীয়-স্বজন অনেকেই কাঠমান্ডু সহ বিভিন্ন শহরে চাকরি ও বসবাস করেন। বেশ কয়েকদিন থেকে তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ নেই। খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর দেখে রাতের ঘুম উড়েছে।”
এছাড়াও তাঁরা জানাচ্ছেন এখানে কাজের সূত্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও শিকড় তো সেই নেপালেই। দেশের অস্থিরতায় পরিবার-পরিজনদের জন্য উদ্বিগ্ন রয়েছে,কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, এই অশান্তি তাঁরা চান না। দেশে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক। সেনার প্রতি আস্থা রাখা উচিত। ধ্বংসাত্মক এই আন্দোলনের জেরে অনেক নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে। তা সমর্থন করেন না কেউ।