শিল্পপার্ক গড়ে তোলার সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় খুশি সকলেই। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সুগার মিলটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। জমি সংক্রান্ত কিছু জটিলতা থাকলেও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হলে তা এলাকার পক্ষে খুবই ভাল হবে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। বিভিন্ন শিল্প সংস্থা আসবে এবং স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বোলপুরের বিশ্ববাংলা বিদ্যালয়ে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের উদ্যোগে ‘সিনার্জি’ শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: এই ব্যবসা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, কম বিনিয়োগে প্রতিদিন মোটা লাভ! টেস্ট পেলে মানুষ সকাল-বিকাল ছুটে আসবে
আর সেই সম্মেলনে বীরভূম জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ৮০০ জন উদ্যোগপতি অংশ নেন। এর মধ্যে বীরভূম জেলায় ৩৭১ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব আসে। জেলা প্রশাসনের দাবি, উদ্যোগপতিদের আকৃষ্ট করতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে সংযোগকারী রাস্তা, পর্যাপ্ত আলো ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী দিনে একাধিক ছোট-বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে জেলার অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে। অনেক বেকার যুবক যুবতীদের কাজের সুযোগ হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, ১৯৫৫ সালে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ন্যাশনাল সুগার মিল প্রতিষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পাওয়ার পর আখ চাষের জমিসহ প্রায় ৫৩ একর জায়গায় প্রায় ৬ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নিয়ে মিলটি গড়ে ওঠে এবং ১৯৬০-৬১ সালে উৎপাদন শুরু হয়। আজ থেকে বহু বছর আগে সেখানে কর্মীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় মোট ৬৮১ জন। তবে নানা জটিলতায় ১৯৬৪ সালে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার মিলটি অধিগ্রহণ করে এবং নামকরণ হয় আমোদপুর সুগার মিল। ১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে পুনরায় উৎপাদন শুরু হলেও ফের আর্থিক টানাপোড়েনে ২০০২-০৩ সালে উৎপাদন সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৫ সালে কর্মীদের আগাম অবসর দেওয়া হয়। এক সময় এই চিনিকলের স্থানীয় ডিরেক্টর ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত রজতভূষণ দত্ত। সেখানেই এবার গড়ে উঠবে পার্ক।






