এইদিন অর্থাৎ, ১ তারিখ বিকেলে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নন্দন মেলার সূচনা করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ, সন্তুর বাদক তরুণ ভট্টাচার্য, কলাভবনের অধ্যক্ষ শিশির সাহানার। ১ ও ২ তারিখ এই মেলার পাশাপাশি ৩ ডিসেম্বর কলাভবনে শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর জন্মদিন পালিত হবে। কলা ভবনে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা দিনরাত এক করে এই মেলার জন্য কাজ করেন। ফেলে দেওয়া টিনের বোতল দিয়ে ব্যাঙের ছাতা তৈরি করছেন স্নাতকোত্তরের অন্তিম বর্ষের পড়ুয়া শুভেন্দু মণ্ডল।
advertisement
ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়েও যে কাজে লাগানো যায়, তা তাঁরা শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছেন। মেলার আকর্ষণ হিসাবে থাকবে গালার পুতুলের স্টল। ভারতীয় চিত্রশিল্পের ইতিহাসে প্রখ্যাত একটি নাম নন্দলাল বসু। বিশ্বভারতীর কলাভবনের প্রিন্সিপাল পদে তিনি আসীন হন ১৯২২ সালে। তাঁর প্রখ্যাত কীর্তিকে স্মরণে রেখেই তাঁর নামঙ্কিত এই মেলা আয়োজিত হয় প্রতি বছর। নন্দলাল বসুর জন্মদিন ১৮৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর। সেই উপলক্ষ্যে তাঁর জন্মদিনের আগের দু’দিন শান্তিনিকেতনের কলাভবন চত্বরে আয়োজিত হয় এই ভিনস্বাদের মেলা।
ভিনস্বাদের এই মেলায় গেলে মিলবে গয়না ,পেন্টিং, মাটির বাসন, সেরামিক, ডোকরা, কী না পাওয়া যায় এই মেলায়। শৌখিন সমস্তরকমের সামগ্রী মেলে এই মেলায় । মূলত, কলাভবনের ছাত্রছাত্রীরাই এই মেলার আয়োজনে বিভিন্ন স্টল সামগ্রী নিয়ে বসেন। উল্লেখ্য, তাঁরা নিজের হাতে এই সামগ্রী বানান। তাই বোলপুর শান্তিনিকেতনে থাকলে আজই ঘুরে আসুন এই মেলা।






