তবে জানেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শাখায় এই আরএমএসের গুরুত্ব কতখানি? উপকূলবর্তী এলাকা যেমন প্রাচীন জনপদ কাঁথি কিংবা দিঘা সহ এই এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ডাক পৌঁছে যেত শুধুমাত্র রেলওয়ে মেল সার্ভিস এর কারণে। দ্রুত মানুষের মধ্যে সেই সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতেই প্রায় ১৯০০ সাল নাগাদ শুরু হয় এই পরিষেবা। ব্রিটিশ শাসনকালে বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমদিকে মালগাড়ির যাতায়াত শুরু হলেও পরবর্তীতে শুরু হয় প্যাসেঞ্জার ট্রেন।
advertisement
গবেষকদের দাবি, ১৯০০ সালের প্রথম নাগাদ রেলওয়ে যাতায়াত শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন ট্রেনের কোচের সঙ্গে একটি কোচ থাকত শুধুমাত্র মেইল সার্ভিসের জন্য। সারা ট্রেনের রং লাল হলেও কিছুটা ফ্যাকাসে রঙের হত এই বিশেষ কোচ। যেখানে থাকতেন ডাক বিভাগের কর্মীরা, থাকতেন রেলের কর্মীরাও। বহু সাহিত্যিক তার লেখায় লিখেছেন এই আরএমএস এর কথা। একটা সময় মাদ্রাজ মেল কিংবা অন্যান্য ট্রেনগুলোতেও এই মেইল সার্ভিস চালু ছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা পরিচিত ছিল কন্টাই রোড স্টেশন হিসেবে। মূলত প্রাচীন কাঁথি জনপদকে কেন্দ্র করে এই স্টেশনের নাম ছিল কন্টাই রোড স্টেশন এখানে ছিল এই আরএমএস কাউন্টার। সামান্য কিছু বছর আগে এই স্টেশনে বন্ধ হয়ে যায় আরএমএস। শুধুমাত্র খড়গপুর থেকেই এখন পরিচালিত হয়।
ব্রিটিশ সময় কাল থেকে দ্রুত বিভিন্ন চিঠিপত্র পৌঁছে দেওয়া এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষজনের কাছে দ্রুত ডাক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য খড়গপুর ডিভিশনের কন্টাই রোড স্টেশনে শুরু হয় রেলওয়ে মেইল সার্ভিস। এই বিশেষ আরএমএস কাউন্টারের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। পরবর্তীতে আরও বৃহৎ মাত্রায় আসে ভারতীয় ডাক বিভাগ। তবে এই রেলওয়ে মেইল সার্ভিস এর ভূমিকা অপরিসীম।
Ranjan Chanda





