Brahma Muhurta Benefits: ভোর ৩টে থেকে ৪টের সময় রোজ ঘুম ভাঙে, ব্রহ্ম মুহুর্তে উঠে কাজ করলেই 'মিরাকেল', মাত্র ২১ দিনেই বদলে যাবে জীবন...

সূর্যোদয়ের অনেক আগে এই মুহূর্তটি কেবল একটি সময় নয়, বরং একটি অভিজ্ঞতা। এই ব্রহ্ম মুহুর্তে বাতাস শীতল থাকে, কোনও শব্দ নেই এবং ফোন থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া পর্যন্ত কোনও কিছুর চাপ নেই। এই সময়টি এমন একটি সময় যখন একজন ব্যক্তির মনকে সবচেয়ে শান্ত এবং পরিষ্কার বলে মনে করা হয়।

অনেক নেতৃস্থানীয় ঋষি, যোগব্যায়াম অনুশীলনকারী, লেখক, সঙ্গীতজ্ঞ, ডাক্তার এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এটিকে জীবন পরিবর্তনকারী সময় বলে অভিহিত করেন। কারণটি সহজ যখন মন শান্ত থাকে, তখন আপনি আপনার চিন্তাভাবনা, শক্তি এবং কর্মগুলিকে আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

ব্রহ্ম মুহুর্তের সময় ঘুম থেকে উঠে যদি আপনি টানা ২১ দিন ধরে কিছু কাজ করেন, তাহলে আপনার ভেতরে একটা পরিবর্তন আসবে। আপনার চিন্তাভাবনা শক্তিশালী হবে, আপনার মন হালকা বোধ করবে, কাজগুলি সহজ মনে হবে এবং আপনার দিনটি ইতিবাচকভাবে শুরু হবে। আপনার জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার জন্য মাত্র ২১ দিনের জন্য আপনি যে পাঁচটি কাজ করতে পারেন তা এখানে রইল।

ব্রহ্ম মুহুর্তের সময় মন স্বাভাবিকভাবেই শান্ত থাকে, যা ধ্যানকে সহজ এবং কার্যকর করে তোলে। কেবল কয়েক মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করুন, গভীরভাবে শ্বাস নিন, আপনার শরীরকে শিথিল করুন এবং আপনার চিন্তাভাবনা প্রবাহিত হতে দিন। নিজেকে কিছু করতে বাধ্য করবেন না, কেবল আপনার মনকে শান্ত হতে দিন। এটি চাপ কমায়, মনোযোগ উন্নত করে এবং সারা দিন আপনার শক্তিকে প্রবাহিত করে।

এই সময় মন নতুন তথ্য দ্রুত শোষণ করে। অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের কয়েকটি পৃষ্ঠা পড়ুন, আধ্যাত্মিক গল্প শুনুন, অথবা মনকে প্রশান্ত করে এমন হালকা সঙ্গীত বাজান। সকালে আপনি যা শোনেন বা পড়েন তা সারাদিন আপনার আচরণকে প্রভাবিত করে, তাই এই অভ্যাসটি ধারাবাহিকভাবে গ্রহণ করা অত্যন্ত উপকারী।

সকালের নীরবতা আপনার দিনের পরিকল্পনার জন্য উপযুক্ত। আপনার কাজগুলি একটি কাগজের টুকরোতে লিখুন। প্রথমে কী করা দরকার এবং পরে কী করা দরকার তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করুন। এই অভ্যাসটি চাপ কমায় এবং আপনাকে সারা দিন ধরে সুসংগঠিত রাখে। যখন আপনি জানেন যে দিন শুরু করার আগে কী করা দরকার, তখন কাজগুলি সহজ মনে হয় এবং আপনি অতিরিক্ত চাপ অনুভব করেন না।

ব্রহ্ম মুহুর্ত এমন একটি সময় যখন আপনি নিজের ভেতরে তাকাতে পারেন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করার জন্য কয়েক মিনিট সময় নিন, আমি কি সঠিক পথে এগোচ্ছি, আমার কী পরিবর্তন করা দরকার? কী আমাকে পিছিয়ে রাখছে? এই ছোট প্রক্রিয়াটি আপনাকে সৎ করে তুলতে পারে, স্পষ্টতা প্রদান করতে পারে এবং আপনাকে আবেগগতভাবে শক্তিশালী করতে পারে। এই সময়ে অনেকেই তাদের দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি খুঁজে পান।

এই শান্ত সকালের শক্তি তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য উপযুক্ত। তোমার বাবা-মা, শিক্ষক, প্রিয়জন এবং ঈশ্বরের কথা ভাবো। তাদের কাছে ভাল চিন্তাভাবনা পাঠাও। এই অভ্যাস মনকে বিনয়ী করে এবং ভেতরে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে। তুমি যত বেশি কৃতজ্ঞতা বোধ করবে, তোমার দিনটি তত সহজেই ইতিবাচক অভিজ্ঞতায় ভরে উঠবে। (ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।)