দুবরাজপুরের লালবাজার এলাকায় ছিলেন অমূল্যবাবুর বসবাস। দীর্ঘদিন অসুস্থতার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল তিনি আত্মঘাতী হন বলে পরিবারের দাবি। সেদিনই তাঁর দেহ উদ্ধার করে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। কয়েক মাস পরে রিপোর্ট পেলেও সেখানে মৃত্যুর সময় হিসেবে লেখা নভেম্বর ২০২৪ অর্থাৎ মৃত্যুর প্রায় পাঁচ মাস আগে!
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলের সামনে এসে ছাত্রীদের উত্যক্ত! রোমিওদের মাথা ন্যাড়া করে দিল গ্রামবাসীরা
এই অস্বাভাবিক তথ্যগত ভুলের কারণে জনার্দন গড়াই বাবার মৃত্যুর শংসাপত্র সংগ্রহ করতে গেলে দুবরাজপুর পৌরসভা তা দিতে অস্বীকার করে। যুক্তি, মৃত্যুর আগেই ময়নাতদন্ত দেখানো হয়েছে, তাহলে কীভাবে সঠিক মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব? জনার্দনের ক্ষোভ, “বাবা মারা গেছেন ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে দেখাচ্ছে ২০২৪ সালের নভেম্বর। এই ভুলের জন্য আমাকে থানার চক্কর কাটতে হচ্ছে, হাসপাতাল যেতে হচ্ছে। পৌরসভা বলছে, ময়না তদন্তের রিপোর্টের তথ্য ঠিক না হলে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া যাবে না। কিন্তু রিপোর্ট না পেলে ব্যাংকের টাকাও ছাড়াতে পারছি না। প্রমাণই দিতে পারছি না বাবা মৃত না জীবিত!”
এদিকে, দুবরাজপুর থানা সূত্রে দাবি, ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভুল সংশোধনের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। সিউড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার প্রকাশচন্দ্র বাগ স্বীকার করেছেন, “কম্পিউটারে এন্ট্রি করার সময় ভুল হয়েছে। তা শুধরে দেওয়া হচ্ছে।”






