জেলার জনপ্রিয় পিকনিক স্পটগুলির মধ্যে অন্যতম মামা-ভাগ্নে পাহাড়। এর পাশাপাশি রয়েছে পাহাড়েশ্বর মন্দির চত্বর, যেখানে শীতের মরশুমে ভিড় আরও বাড়ে। মনোরম শিলাস্তর, গাছগাছালির আবরণ এবং শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণের প্রধান কারণ। একইসঙ্গে ভূতাত্ত্বিক গবেষকদের কাছেও এই প্রাকৃতিক শিলান্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এলাকার আরেক পরিচয় বহু জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্রের শুটিং স্পট। এই পাহাড় অঞ্চলে সত্যজিৎ রায়ের ‘অভিযান’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, সন্দীপ রায়ের ‘রবার্টসনের রুবি’ ও ‘গোঁসাইপুর সরগরম’ ছবির গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যধারণ হয়েছিল। ফলে এই জায়গার পর্যটনমূল্য ও ঐতিহ্য দুই-ই বিশাল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উত্তর হাওড়ার জল-কষ্ট অতীত! প্রায় ২৮০ কোটি টাকা খরচে নতুন প্রকল্প, সহজেই মিলবে শুদ্ধ পানীয় জল
এদিন পর্যটক পল্লবী পাল বলেন, “ছোটবেলায় এসেছিলাম, আজ এতদিন পর আবার এসে দেখলাম অনেক পরিবর্তন। নতুন মন্দির হয়েছে, আশেপাশের পরিবেশ বদলেছে। পরিবার নিয়ে আবার আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কিছু জায়গায় দূষণ দেখে খারাপ লাগছে। মানুষ যদি একটু সচেতন হন, তাহলে জায়গাটা আরও সুন্দর থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “এত মানুষ ঘুরতে আসে তাই নিজেদেরই দায়িত্বশীল হতে হবে। জায়গাটা দেখার মতো, তাই অপচনশীল বর্জ্য যেখানে-সেখানে ফেলা মোটেই ঠিক নয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, পর্যটকদের অসচেতনতা এবং সঠিক নজরদারি না থাকায় পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের তৎপরতা, সচেতনতা প্রচার এবং নিয়মিত পরিষ্কার অভিযান চালানো জরুরি।





