বর্তমানে এই পুজো বাবুইজোড়ের অন্যতম বড় অনুষ্ঠান। পুজোর কেন্দ্রস্থল গ্রামের লক্ষ্মী মন্দির প্রাঙ্গণ। টানা দু’দিন ধরে পুজো চলে। উৎসবের রঙে সেজে ওঠে গোটা গ্রাম। পুজো শুরুর সময়কার সেই ছোট ছেলেরা আজ প্রৌঢ়। পুজোর মানসিক বন্ধনে তাঁরা এখনও যুক্ত থাকলেও দায়িত্ব সামলাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্ম।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুজোয় বিষাদের সুর! বাদুড়িয়ার ‘এই’ এলাকায় গায়েব উৎসবের আমেজ, কেন ঘরে এল না ধনদেবী? জানুন কারণ
advertisement
শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলেন, “আমরা তখন কেউ ক্লাস টু, কেউ থ্রি-তে পড়ি। ঘেঁটু পুজোর সময় বিভিন্ন সাজে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে টাকাপয়সা আদায় করতাম। একদিনে প্রায় কুড়ি টাকা উঠেছিল। ভাবলাম টাকাটা খরচ করব না, একটা ক্লাব গড়ব। মন্দিরের পাশের মাঠে মুরুব্বিদের অনুমতি নিয়ে ক্লাব শুরু করলাম। তারপর সেই টাকায় ১৯৭৭ সালে প্রথম লক্ষ্মীপুজো করলাম।”
সেই ক্লাবের নাম ছিল ‘নেতাজী ক্লাব’। উৎপলবাবু জানান, “ছোটবেলা থেকেই নেতাজীর বীরত্বগাঁথা শুনে আমাদের মনে দেশভক্তি গেঁথে গিয়েছিল। তাই পুজোর ক্লাবের নাম দিলাম নেতাজী।” প্রথমদিকে আট-দশজন মিলে পুজো শুরু হয়েছিল। এরপর একাধিক প্রজন্ম বদলেছে, কিন্তু পুজো থেমে থাকেনি। এমনকি ১৯৭৮ সালের ভয়াবহ বন্যার মধ্যেও পূজার ধারা অব্যাহত ছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন নতুন প্রজন্মের তরুণেরা। পুজোর প্রতিমা তৈরি করেন ঝাড়খণ্ডের আম্বার গ্রামের শিল্পী উত্তম চক্রবর্তী। তিনি পুজোর অন্যান্য দায়িত্বও সামলান। গ্রামের প্রবীণ ও নবীন মিলে যেন আবারও সাতের দশকের ঘেঁটুর দিনগুলি ফিরে পান। ২০ টাকায় জন্ম নেওয়া এক অনবদ্য ঐতিহ্য আজও গ্রামীণ ঐক্যের প্রতীককে টিকিয়ে রেখেছে।