একই মণ্ডপে ৫১টি মূর্তি ৫১ জন পুরোহিত দিয়ে পুজো করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ভিড় জমান। আজ যখন সেই পুরোনো দিনের দিকে ফিরে তাকানো হয়, কীভাবে ৫০ টাকায় শুরু হওয়া সেই পুজো আজ লাখ লাখ টাকার বাজেটর পুজোর আকার নিয়েছে।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর দুই ব্লকের ইটাচনা গ্রামে ১৮ বছর আগে কয়েকজন যুবক মিলে ৫০ টাকা দিয়ে শুরু করেছিলেন কার্তিক পুজো। ইটাচনা গ্রামের ‘আমরা কজন কার্তিক পুজো কমিটি’-র সদস্যরা বছর বছর পুজোর আয়োজন আরও বড় করে তোলার চেষ্টা করেন। তারা জানান, কয়েকজন যুবক মিলেই দু’দশক আগে ক্লাব গঠন করেন এবং সেখান থেকেই শুরু হয় কার্তিক পুজো। ধীরে ধীরে এলাকাবাসীর সহযোগিতা বাড়তে থাকে, আর সেই সহযোগিতার ফলেই আজ এই পুজো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বড় আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে ছোট্ট মণ্ডপে পুজো হত, এখন সেখানে বিশাল মণ্ডপ তৈরি হয়। সঙ্গে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা।
দৃষ্টিনন্দন মণ্ডপ। দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ভিড় জমান এই পুজোর কয়েকটা দিন। এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হল, একই মণ্ডপে মোট ৫১টি কার্তিক মূর্তি স্থাপন করে পুজো করা হয়। প্রতিটি মূর্তির জন্য আলাদা পুরোহিত থাকেন। শুধু পুজো নয়, পাঁচ দিনব্যাপী বড় আকারে মেলা বসে ইটাচনা গ্রামে। জিলিপি, খেলনা, খাবার, পোশাক, হাতের কাজ – সব কিছুর দোকান মেলা প্রাঙ্গণে সারি সারি সাজানো থাকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভিড় সামাল দিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি ক্লাবের তরফে স্বেচ্ছাসেবক দল থাকে। সন্ধ্যা নামলেই মেলায় ভিড় বাড়ে আরও বেশি। এই পুজোকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যেকদিন থাকে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকসংগীত, নাচগান।
কার্তিক পুজোকে ঘিরে প্রতিবছর নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়। প্রায় ১৫ হাজার মানুষের নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়। মাত্র ৫০ টাকার দিয়ে শুরু হওয়া এই কার্তিক পুজোয় আজ লক্ষাধিক টাকার বাজেটের বড় আয়োজন করা হয়। ভক্তদের বিপুল ভিড় ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায় বছর বছর পুজোর পরিধি আরও বাড়ছে।





