এই বিষয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, 'নির্দিষ্ট ওই নম্বরে যে কোনও অভাব অভিযোগের কথা জানা মাত্রই উদ্যোগী হব সমস্যা সমাধানে। নির্দিষ্ট নম্বরে নাগরিকদের কাছ থেকে বার্তা (Bidhayok ke Bolo | TMC) পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সমস্ত সমস্যার কথা লিপিবদ্ধ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
advertisement
'দিদিকে বলো'র ধাঁচে এবার 'আমার কথা বিধায়কের কাছে'। রাজারহাট গোপালপুরের মানুষের জন্যে ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচি চালু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অদিতি মুন্সি। বিধায়ক জানিয়েছেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে আমরা এগিয়ে চলেছি প্রতিনিয়ত। তাঁর দেখানো পথে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা পৌঁছতে পেরেছি সর্বসাধারণের হৃদয়ে৷ তাই আরও একবার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এগিয়ে এল রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্র। প্রথম থেকেই নাগরিকদের অভাব-অভিযোগের কথা জানানো মাত্রই আমরা মানুষের পাশে ছিলাম। আগামী দিনেও নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে থাকবো'।
আরও পড়ুন : 'শ্রীদুর্গা অপেরা'র অফিসে হইহই কাণ্ড! এ কোন ভুবন? কাঁচা বাদামের পর ফের চমক বাদ্যকরের
রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের (Bidhayok ke Bolo | TMC) দক্ষিণ কলকাতার সভাপতি দেবাশীষ কুমারের কথায়, এই আধুনিক কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হবেন। অদিতি মুন্সি, দেবাশীষ কুমারের পর এবার মলয় ঘটকও নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের নাগরিকদের জন্য আত্মপ্রকাশ করলেন 'বিধায়ককে বলো' কর্মসূচির। বর্তমান সময় প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থায় বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নানান কাজের চাপে বারবার সামাজিক প্রকল্প থেকে নানা সমস্যা নিয়ে বিধায়কের অফিসে দৌড়নোও সম্ভব নয়। তাই আধুনিক প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানুষের কাছেই হাজির হচ্ছেন জন প্রতিনিধিরা।
দলের নির্দেশে একে একে জনপ্রতিনিধিরা শুরু করছেন ‘বিধায়ককে বলো’-র মতো নানা কর্মসূচি। তাতে নাগরিকরা সরাসরি নিজের বিধায়ককে জানাতে পারবেন সমস্যার কথা। এতে একদিকে যেমন সুবিধা হবে নাগরিকদের। পাশাপাশি এর মাধ্যমে বিধায়কদের জনসংযোগও হবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ি