ছোটবেলা থেকেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি তার গভীর টান, তাই দীর্ঘদিন ধরেই স্বপ্ন দেখতেন সাইকেলে চেপে বৃন্দাবনে পৌঁছনোর। অবশেষে সেই স্বপ্নই রূপ পেল বাস্তবের। তার কথায়, বাংলার মানুষের সুখ, শান্তি ও মঙ্গল কামনায় এই যাত্রায় বেরিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র ধর্মীয় ভাবনা নয়, সমাজের প্রতি এক মানবিক বার্তাও পৌঁছে দিতে চান সুব্রত।
আরও পড়ুনঃ বারাণসীর আদলে মুর্শিদাবাদে গঙ্গা আরতি! ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ, বাড়ি বসে দেখুন চোখ ধাঁধানো আয়োজন
advertisement
সুব্রতর পথচলা শুরু হয়েছে পটাশপুরের সুকাখোলা মল্লিকপুর গ্রাম থেকেই। প্রতিদিন প্রায় ৮০-১০০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে অতিক্রম করছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে একটি ছোট ব্যাগ। তাতে প্রয়োজনীয় কিছু কাপড়, জল, শুকনো খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসার জিনিসপত্র। ভ্রমণের সময় কোনও বাহ্যিক সহযোগিতা বা বিলাসিতা তিনি নিচ্ছেন না। সাধারণ মানুষের সাহায্য, মন্দিরে আশ্রয়, আর নিজের অধ্যবসায়ই তার সঙ্গী। পথের ক্লান্তি বা কষ্ট তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তার বিশ্বাস, “যেখানে ভগবানের ইচ্ছে, সেখানে বাধা মানে পরীক্ষা মাত্র।”
এই যাত্রাপথে তিনি বাংলার পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, তারপর ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে অবশেষে বৃন্দাবনে পৌঁছবেন। যাত্রাপথে যেখানেই বিশ্রাম নিচ্ছেন, সেখানকার মানুষের সঙ্গে ভগবানের নাম, ভালবাসা আর মানবিকতার বার্তা ভাগ করে নিচ্ছেন। অনেকেই তার এই উদ্যোগে মুগ্ধ হয়ে আশীর্বাদ দিচ্ছেন ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সুব্রতের কথায়, “এই যাত্রা শুধু ধর্ম নয়, এক মানবিক অভিযাত্রা। আমি খ্যাতি চাই না, শুধু বাংলার মানুষের মঙ্গল কামনায় এই যাত্রা করছি। ভগবানের আশীর্বাদে সবাই যেন ভাল থাকে – এই আমার প্রার্থনা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বৃন্দাবনে পৌঁছে প্রেমচাঁদ মহারাজের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে রয়েছে সুব্রতর। তাঁর কথায়, মহারাজের আশীর্বাদই এই যাত্রার পরম প্রাপ্তি হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা প্রথমে চিন্তিত হলেও এখন গর্বে আপ্লুত। গ্রামের মানুষও প্রতিদিন তার খবর নিচ্ছেন ও প্রার্থনা করছেন তার নিরাপদ যাত্রার জন্য। সুব্রতর এই উদ্যোগ এখন স্থানীয়দের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এক তরুণের এই অসাধারণ সাহস, ভক্তি ও মানবিকতা বাংলার মাটিতে নতুন অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দিয়েছে।





