অভিযোগ, ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ নামে অফিস খুলে জালিয়াতি করত বিভাস। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল বীরভূমের এই বিভাস অধিকারীর। সেই বিভাসকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থার নামে ভুয়ো ‘থানা’ খুলে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে বিভাস অধিকারীর বিরুদ্ধে। জানা যায় গৌতমবুদ্ধ নগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে।
advertisement
সূত্র মারফত খবর, একমাত্র বিভাসই নন, এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।অভিযোগ, ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ নামে অফিস খুলে জালিয়াতি করতেন বিভাসরা। আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা বলে দাবি করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে এনে মোটা অঙ্কের টাকা তোলা হত। নয়ডায় অফিস খুলে দিনের পর দিন চলছিল এই প্রতারণা চক্রটি। সেই খবর জানাজানি হতেই পুলিশের তল্লাশিতে উদ্ধার হয় প্রচুর ভুয়ো নথি, পেনড্রাইভ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম।
আরও পড়ুন: অভয়া মঞ্চের দুই চিকিৎসক তমোনাশ চৌধুরী-পুণ্যব্রত গুণকে পুলিশের নোটিস, হাজিরা না দিলে গ্রেফতারি! কেন?
একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার নামে তৈরি করা হয়েছিল সে সব জাল নথি। জানা গিয়েছে, বিভাস অধিকারীর বাড়ি বীরভূমের নলহাটি-২ ব্লকের শীতলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর গ্রামে। মানিক ভট্টাচার্য এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিভাসের নাম উঠে এসেছিল। তাঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল বলেও দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এক সময়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিও হয়েছিলেন।
নলহাটির গ্রামে রয়েছে বিভাসের মালিকানাধীন বিএড কলেজ। রয়েছে আশ্রম আর তার পাশেই আছে স্টাফদের থাকার কোয়ার্টার। ইডি, সিবিআই একাধিক বার তাঁকে নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর বাড়ি ও অফিসে অভিযানও চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরে আবার পুনরায় এই ধরনের এক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমে।