চোখের সামনে নিজের জমি, বাড়িঘর নদীতে তলিয়ে যেতে দেখে বড় হয়েছে গ্রামের বহু মানুষ। তবুও ভাঙন রোধের কোনও কার্যকর ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সরকারি সাহায্যও মেলেনি তেমনভাবে। তবু জীবনের তাগিদে, ছেলেপুলে নিয়ে কোনওরকমে নদীর পাড়েই টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কেতুগ্রাম-২ ব্লকের মৌগ্রাম অঞ্চলের রঘুপুর গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুনঃ সেন্ট্রাল লাইব্রেরির দখল নিল পূর্ণবয়স্ক গোখরো! হাড়হিম করা দৃশ্যে দিশেহারা কর্মীরা
advertisement
গ্রামবাসী সাধন ঘোষ বলেন, “প্রতিবার ভাঙন হচ্ছে, আমরাই শুধু পরে আছি। যে যেখানে পারছে চলে যাচ্ছে। অনেক ঘরবাড়ি, জমি ভেঙে নদীতে চলে গিয়েছে। এখনও ভাঙন হচ্ছে, এরপর আমরা কোথায় যাব জানি না।” কয়েক দশক ধরে ভাগীরথীর ভাঙনের সঙ্গে লড়াই যেন তাঁদের নিত্যসঙ্গী। ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ভাঙনে ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি, ফসলের জমি। প্রতি বছর গড়ে ২০ থেকে ৩০ মিটার করে পিছিয়ে যাচ্ছে নদীর পাড়। এবারও জলস্তর কমতেই ফের শুরু হয়েছে ভাঙন। নদী থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে বসবাস করা মানুষজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, যেন নদী নিজেই তাড়া করছে তাঁদের।
ভাঙনের দাপটে গোটা রঘুপুর গ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান বদলে গিয়েছে। ভাগীরথীর দুই তীরই এখন ভাঙনের কবলে বিপন্ন। মৌগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য প্রমোতোষ ঘোষ বলেন, পাশের গ্রামে কাজ হচ্ছে। আমরাও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি আমাদের এখানেও কাজ শুরু হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নদী লাগোয়া রঘুপুর একটি কৃষিনির্ভর গ্রাম। প্রায় ১৫০টি পরিবারের ১২০০ জন এখানে বাস করেন। তাঁদের অধিকাংশেরই আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই বললেই চলে। তার উপর প্রতি বছর নদীর এই নির্মম আঘাত তাঁদের জীবনে যোগ করছে নতুন দুর্ভোগ ও অনিশ্চয়তা। কবে হবে সমস্যার সমাধান সেইদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।





