কথিত আছে, কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শহরে বুড়িমার পুজো শুরু হয়েছিল। তবে এর আগে বাংলায় দেবীর পুজো হত কি না, তা নিয়ে রয়েছে কিছু দ্বিমত। চাষাপাড়ার বুড়িমার পুজোর শুরু বহু বছর আগেই। অনেকের মতে, রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়ে চাষাপাড়ার লেঠেলদের পুজোর দায়িত্ব দেন। আবার কেউ বলেন, রাজা চাইতেন দেবীর পুজো রাজবাড়ির বাইরে ছড়িয়ে পড়ুক। পুজোর শুরু নিয়ে মত ভিন্ন হলেও ভক্তদের বিশ্বাসে বুড়িমার মাহাত্ম্য অটুট।
advertisement
বুড়িমাকে সাজানো হল বুধবার সন্ধ্যায়, কেজি কেজি সোনার অলঙ্কার দিয়ে। মাকে অলংকার পড়ানোর এই দৃশ্য দেখতে বহু ভক্তরা ভিড় জমান। এই সোনার গহনা পড়েই মায়ের পুজো হওয়ার পর বুড়িমাকে কাঁধে তুলে বেহারারা নিয়ে যাবেন কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাটে। সেখানে গিয়েই মায়ের গয়না খোলা হবে বিসর্জনের আগের মুহূর্তে। এবং পুনরায় সেই গহনা কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে চলে যাবে নির্দিষ্ট স্থানে। পরের বছর আবার একইভাবে গয়না পড়ানোর এই রীতি চলতে থাকবে।
শতাব্দীর এই ধারাবাহিক উৎসব, ভক্তদের আবেগ, ভক্তি ও জমজমাট পরিবেশ চাষাপাড়ার বুড়িমার পুজোকে বাঙালির হৃদয়ে অমর করে রেখেছে।
মৈনাক দেবনাথ





