তাঁর কথায় ২০০০ সালে হঠাৎ করেই দাড়ি রাখার ইচ্ছা হয় । যেই ভাবা সেই কাজ । রীতিমতো পরিচর্যা করে বানিয়ে ফেলেছেন এই দীর্ঘ দাড়ি । তাঁর দাড়ির জন্যই এলাকায় তিনি বেশ পরিচিত । তাঁর এখন একমাত্র ইচ্ছা দাড়ি দিয়েই বিখ্যাত হবেন তিনি । গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস্-এ নাম তুলবেন দাড়ির দৌলতে ।
advertisement
আরও পড়ুন : পুলিশি অভিযানেও বন্ধ হয়নি নদীতে বেআইনি এই কাজ, সংলগ্ন এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা
ফকির মহম্মদ জবিরুলের কথায় ৮ ফুটের দাড়ি সোজা রাখা সহজ নয় । তাই সেটিকে গিট মেরে একহাতের মত ভাঁজ করে রাখেন। কোনও জায়গায় যেতে আসতে গেলে দাড়ি পোশাকের ভেতরে রেখে দেন । এই দাড়ির জন্যই তাঁর সমস্ত সাধনা । তেমন কিছু সমস্যা না হলেও ওজনের জন্য একটু হলেও কষ্ট হয় । তবে শখের জন্য এটুকু কষ্ট করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি । জবিরুল জানিয়েছেন, দাড়ির রেকর্ডের স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে আছেন তিনি । বিয়ে পর্যন্ত করেননি দাড়ির জন্য ।
আরও পড়ুন : ফুটবলপায়ে কাঁটাবুনি থেকে মিশিগানের পথে, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা আদিবাসীকন্যাকে
দাড়িই তার জীবনের একমাত্র প্রেম । বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দাড়িওয়ালার খেতাব এখন রাজস্থানের গিরধর ভায়াসের দখলে । ২০১৮ সালে এই খেতাব পান তিনি । তাঁর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের জবিরুল । যদিও পেশায় টোটোচালক ভগবানগোলার দাড়িবুড়ো জবিরুলকে নিয়ে চর্চার কিছু কমতি নেই।
( প্রতিবেদন : কৌশিক অধিকারী)