এ দিন সন্ধ্যায় বহরমপুর সুইমিং পুলের কাছে বছর কুড়ির ওই তরুণীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল, হামলাকারী যুবকই কাছের মেস থেকে ওই তরুণীকে ডেকে এনেছিল৷ এর থেকেই পুলিশ একরকম নিশ্চিত হয়, আততায়ী তরুণীর পূর্ব পরিচিত৷
advertisement
আরও পড়ুন: ভর সন্ধ্যায় রাস্তার উপরে যুবতীকে কুপিয়ে খুন করল দুই আততায়ী! চাঞ্চল্য বহরমপুরে
তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া বছর কুড়ির ওই তরুণী আদতে মালদহের বাসিন্দা৷ মুর্শিদাবাদের একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি৷ ঘটনার খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁর বাবা- মা সহ পরিববারের সদস্যরা৷ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সুশান্ত চৌধুরীর বাড়িও মালদহের পাকুড়ে৷ সোমবার রাতেই সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ নাকা চেকিং করার সময়ে সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত নতুন ডাকবাংলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: রেল স্টেশনের স্বামী সন্তানের সামনে প্রেগন্যান্ট মহিলাকে টেনে নিয়ে চলল পাশবিক অত্যাচার
বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার কে সবরী রাজ কুমার জানান, নিহত তরুণী বহরমপুর গালর্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি মালদহ জেলার ইংরেজ বাজারের বাসিন্দা। ঘটনার পরেই আততায়ীকে ধরতে বহরমপুর পুলিশ জেলা ও জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা জুড়ে যৌথভাবে অভিযান চালানো হয়। জঙ্গিপুর ও মালদহ জেলার পুলিশ নাকা চেকিং করে। মালদহ জেলার পাকুর থানার বাসিন্দা সুশান্ত চৌধুরীকে সোমবার রাত দশটা নাগাদ সামশেরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের কাছ থেকে একটি নকল আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অনুমান, এই নকল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়েই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক৷
পুলিশ সুপার কে সবরী রাজ কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক ও নিহত তরুণীর মধ্যে প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক থাকলেও সম্ভবত তাতে চিড় ধরেছিল৷ সেই আক্রোশ থেকেই তরুণীকে খুন করেছে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী৷ আজ তাকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ৷ জিজ্ঞাসাবাদের পরই সম্ভবত খুনের প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে৷