আরও পড়ুন: কবি সুকান্ত’র লেখা লাইনকে জীবনে ধারণ দুই বন্ধুর, সাইকেলে আগামীর প্রতি অঙ্গীকার পালন
রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সফলতার সঙ্গে যোগদান করেছেন তিনি। কাউন্সিলরের দায়িত্ব নাকি ক্যারাটে, কোনটা আগে? এই প্রশ্ন করায় বাঁকুড়ার এই কাউন্সিলর বলেন, আমার ছোট থেকেই লড়াকু মনোভাব ছিল। সেই কারণেই ক্যারাটে নিয়ে এগিয়েছি। তার সঙ্গে ওয়ার্ডটাকে সামলাই। আমি চাই যাতে প্রত্যেকে নিজের আত্মরক্ষার্থে ক্যারাটে শিখে শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
advertisement
৩০ তম এনওয়াইকেসি বার্ষিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় এবছর রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে অংশগ্রহণ করে ২৫৪ জন প্রতিযোগী। কাতা, কুমিতে এবং দলভিত্তিক সঙ্গে ব্যাক্তিগত প্রদর্শন করেন। তার মধ্যে বাঁকুড়ার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইতু দাস নিজের পুত্র শুভম দাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। ইতু দাসের প্রশিক্ষক সৌমেন ব্যানার্জী জানান, ১৯৯১ সাল থেকে ইতু আমার কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বর্তমানে কাউন্সিলর হলেও আগে সে একজন লড়াকু অ্যাথলিট। এমনও দিন গেছে যে আমাকে ছায়ায় অপেক্ষা করতে বলে নিজে রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করে গেছে। ফলে বর্তমানে দাঁড়িয়ে সে একজন নারী শক্তি এবং আত্মরক্ষার দৃষ্টান্ত।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ইতু দাসের স্বামী এবং পুত্র দু’জনেই মার্শাল আর্টের সঙ্গে যুক্ত। তাঁকে অনুসরণ করে বাঁকুড়ায় বহু কিশোরী, যুবতী এবং মহিলা অনুপ্রাণিত হচ্ছেন এবং ক্যারেটে প্রশিক্ষণ বেছে নিচ্ছে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী