আরও পড়ুন: পাথরপ্রতিমা-রায়দিঘিকে জোড়ার চেষ্টা, খরচ প্রায় ২ কোটি
এর উপর রয়েছে টোটো, অটোর দাপাদাপি। সমস্যা মেটাতে প্রশাসন দফায় দফায় বৈঠক করলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। উল্টে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। বারুইপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে কালীতলা মোড় (ফিডার রোড)। পুরপ্রধান নিজেই এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আবার উমাচরণ রায় রোডের একপাশ ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপপুরপ্রধান।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কালীতলা মোড়েই রয়েছে জুলপিয়াগামী অটোর স্ট্যান্ড। যদিও স্ট্যান্ডে না দাঁড়িয়ে রাস্তার মাঝখান থেকেই যাত্রী তোলেন অটোচালকরা। এই রাস্তায় বারুইপুর স্টেশনের দিকে যতদূর চোখ যায় দেখা যাবে রাস্তার দু’পাশে দোকানের সামনে বাইক, টোটোর সারি। চালকরা পার্কিং করে যে যাঁর কাজে চলে গিয়েছেন। ফলে গোটা রাস্তাই সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়েছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, হাঁটাচলা করা যায় না এই রাস্তা দিয়ে। স্বভাবতই অফিসযাত্রীরা অর্ধেক সময় ট্রেন ধরতে পারেন না। একই অবস্থা উমাচরণ রায় রোডেও। সেখানেও কমেছে রাস্তার পরিসর। রাস্তা দখল করে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকাল ও সন্ধেয় ওই রাস্তা হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়লেও পুরসভা কিংবা পুলিস কারোর এই নিয়ে হেলদোল নেই। পড়ুয়ারা সঠিক সময়ে স্কুলে যেতে পারে না। প্রবীণ বাসিন্দা অশোক হালদার বলেন, সমস্যা মেটাতে লোক দেখানো প্রশাসনিক মিটিং হয়। কাজের কাজ কিছু হয় না। আসলে সব কিছুর পিছনেই ভোটের অঙ্ক খোঁজেন পুরসভা থেকে প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। এই প্রসঙ্গে বারুইপুরের পুরপ্রধান শক্তি রায়চৌধুরী ও উপপুরপ্রধান গৌতম দাস বলেন, পুলিস ও স্থানীয় প্রশাসনকে আগেও বলা হয়েছে। দরকারে আবারও বলব। বারুইপুর পুলিস জেলার এক অফিসার বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
সুমন সাহা